এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বঙ্গের বিয়ের বাজারে কদর তলানিতে স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

কৌশিক দে সরকার: বাঙালি চিরকালই চাকুরীজীবী। সরকারি চাকরি তাঁর কাছে সব থেকে আকর্ষক ও নিরাপদ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য কদর পায়ে মোটা মাইনের বেসরকারি চাকরিও। কার্যত ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়েরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের কানে মন্ত্র পড়ার মতো সরকারি চাকরি বা মোটা আয়ের কেরিয়ারের রাস্তাটা দেখিয়ে দেন। সেই বাংলাতেই স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের(School Teachers) বিয়ের বাজারে চাহিদা ছিল তুঙ্গে। এটা নতুন ঘটনা নয়, কার্যত গত ৫-৬ দশক ধরেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বাংলার বিয়ের বাজারে(Marriage Market)। কেননা স্কুল শিক্ষক বা শিক্ষাকাদের এখন সামাজিক ভাবে সম্মান রয়েছে বাংলার সমাজে। তাই বাংলার বিয়ের বাজারে পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনে স্কুল শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের কদর দেখা যাচ্ছিল কয়েক দশক ধরেই। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের(SSC TET Corruption) জেরে সেই ছবিটাই আমূল বদলে গিয়েছে। বাংলায় বিয়ের বাজারে কদর কমেছে স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের। বিশেষ করে দেখাশোনা করে আর কেউ স্কুল শিক্ষকদের সঙ্গে বাড়িওর মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছেন না। শুধু এই ভয়ে, যদি পাত্রের চাকরি বাতিল হয়ে যায় তখন মেয়েটির ভবিষ্যৎ কী হবে, এই ভেবে।

আরও পড়ুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাড়ে ১৩ লক্ষ নতুন ভোটার রাজ্যে

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বাংলায় এখনও পর্যন্ত শতাধিক স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি গিয়েছে। এখনও অনেকের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে স্কুলের শিক্ষিকা অপেক্ষা বিয়ের বাজারে কোপটা বেশি পড়েছে স্কুল শিক্ষকদের ওপরে। কেননা এখনও পুরুষেরাই সংসারের আয়ের প্রধান উৎস্য বলে চিহ্নিত হয়। তাই বাড়ির মেয়ের চাকরি চলে গেলেও তাঁর বিয়ে নিয়ে সমস্যা হয় না বা বিয়ের পরে চাকরি চলে গেলেও সমস্যা হয় না। কিন্তু বিয়ের আগেই বা বিয়ের পরে ছেলেদের ক্ষেত্রে চাকরি চলে গেলে সংসারে কার্যত বিপর্যয় নেমে আসে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যাদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের বেশির ভাগই হয় বিয়ে হয়ে গিয়েছিল বা বিয়ের তোড়জোড় চলছিল। যাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তাঁদের দাম্পত্য জীবন ও সম্পর্ক এখন প্রশ্নের মুখে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভেঙেও গিয়েছে। আর যাদের বিয়ের তোড়জোড় চলছিল তাঁদের বিয়েই ভেঙে গিয়েছে। ফলে আঘাতটা এখন সব থেকে বেশি নেমেছে ছেলেদের ওপরেই। আদালৎ দুর্নীতি কাণ্ডে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার জন্য যে আর্থসামাজিক চাপের মুখে বাংলার পুরুষ সমাজকে পড়তে হচ্ছে সেদিকে কতজনের হুঁশ রয়েছে। শুধু বিয়ে ভাঙাই নয়, চাকরি হারিয়ে সামাজিক ভাবে অনেকেই একঘরে হয়ে পড়ছেন। নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ছেলেরা।

আরও পড়ুন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নিশীথ প্রামাণিকের বাবার নাম, শোরগোল

এই বিপর্যয় দেখেই আর বিএড বা বিএলএড পাশ করা ছেলেমেয়েদের আন্দোলনময় ভবিষ্যত দেখে এখন বিয়ের বাজারে কেউই চট করে স্কুল শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের পছন্দ করছেন না। রাজ্যের প্রথম শ্রেনীর বেশ কিছু দৈনিক সংবাদপত্রে সপ্তাহে একদিন বা একাধিক দিনে পাত্র-পাত্রীদের বিজ্ঞাপন বার হয় বিয়ের জন্য। সেই সব বিজ্ঞাপন গ্রহণের জন্য আলাদা আলাদা কেন্দ্রও থাকে। সেই সব জায়গা থেকেই প্রাপ্ত সূত্রে দেখা যাচ্ছে, বাংলার বাজারে এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের জেরেই হু হু করে কমেছে সরকারি স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের চাহিদা। কদর কমেছে স্কুল কর্মচারীদেরও। কদর কমেছে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত থেকে টেট উত্তীর্ণদেরও। কেননা কার চাকরি থাকবে আর কার থাকবে না এই ডামাডোলের বাজারে তা কেউই হলফ করে বলতে পারছেন না। আর তাই সবাই একটু এড়িয়ে চলছেন বাংলার বুকে এ যাবতকাল পর্যন্ত সম্মানিত ও নিরাপদ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আসা স্কুল শিক্ষকতার চাকরি করা পাত্র-পাত্রীদের। বাংলার বুকে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে এই ছবি কিন্তু খুব একটা ভাল নয়। রসিকজন এখন রসিকতা করে বলছেন, পার্থ’র(Partha Chattopadhay) নয় অর্পিতা(Arpita Mukhopadhay) ছিল, কিন্তু চাকরিহারাদের কিছুই আর রইল না। শিক্ষকতার পথে নামা বাংলার ছেলেরাই এখন সব দিক থেকে নব্য সর্বহারা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘মানুষ আছে দিদির পাশে’, ভোট দিয়ে বেরিয়েই জানালেন নির্মল

তাজ্জব ঘটনা! দিব্যি বেঁচে, তবে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে শুনলেন তিনি মৃত

কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ, আধা সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সরাসরি : দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলার তিন আসনে ভোটদান ৫১ শতাংশ

প্রথম ২ ঘন্টাতেই কমিশনের কাছে ৩৭টি অভিযোগ তৃণমূলের

শুক্রে রাজ্য়ের তিন কেন্দ্রে ভোট, মোতায়েন ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর