এই মুহূর্তে

মাজারে গিয়ে তীব্র কটাক্ষের মুখে শিশির অধিকারী

নিজস্ব প্রতিনিধি: ছেলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে না দিতেই তিনি সপরিবারে গেরুয়া অনুগামী হয়েছিলেন। নিজে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায়। এমনকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতেও পিছুপা হননি। এমনকি বড় ছেলে তৃণমূল, তৃণমূল নেত্রী মায় সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে প্রকাশ্যে কটুশব্দ, কটুবাক্য ব্যবহার করে গেলেও তিনি কোনওদিনই তাতে লাগাম টানার প্রয়োজনবোধ করেননি। এবার তিনিই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলেন মাজারে চাদর চড়াতে। সেই ছবি সংবাদমাধ্য থেকে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগলো না। আর তার জেরেই শুরু হল কটাক্ষের বাণ, সঙ্গে তীব্র সমালোচনা। তিনি শিশির অধিকারী। শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর কুকথার জেরে এখন তাঁকেও তীব্র কটাক্ষের মুখে দাঁড়াতে হচ্ছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঁথির দারুয়া আস্তানা মাজারে গিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। সেখানে তিনি চাদর চড়ানোর পাশাপাশি সিন্নিও দেন। সেই ছবিই নানা সমাজমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়েছে। আর সেই সূত্রেই আমজনতা থেকে সংখ্যালঘু মানুষ ও তৃণমূলের কর্মী থেকে সমর্থকেরা তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছেন। তা৬দের সকলের বক্তব্য মোটামুটি এক। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করা থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত নিত্যদিন প্রায় প্রতিটি সভাতেই যেভাবে সংখ্যালঘু সমাজকে ‘জিহাদী, জঙ্গি, দেশের শত্রু বলে আক্রমণ করে চলেছেন তা যেমন চূড়ান্ত নিন্দানীয় তেমনি চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িকও। এই অবস্থায় কীভাবে ছেলেকে শাসন না করে শিশির অধিকারী ওই মাজারে চলে গেলেন? তাঁর কী লজ্জাবোধ বলেও কিছু অবশিষ্ট নেই?

ঘটনার জেরে দারুয়া আস্তানা মাজারের তরফে সেখ উমর ফারুক জানিয়েছেন, ‘জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এখানে আসতে পারেন। আস্তানায় চাদর ও সিন্নি দিতে পারেন। আমরা খুশি। কিন্তু একটা দুঃখ রয়েছে। ভোটের সময় কাঁথির সাংসদের ছেলে আমাদের উদ্দেশে যে ভাষায় কটুক্তি করেছেন ও আমাদের উদ্দেশ্যে এখনও যেভাবে আক্রমণ শানছেন তা আমাদের খুব কষ্ট দিচ্ছে।’ তবে শিশিরবাবুর এই মাজার যাওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করতে ছাড়েননি রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি জানিয়েছেন, ‘আসলে সামনেই কাঁথি পুরসভার নির্বাচন রয়েছে। তাই বিজেপির হয়ে আর ছেলেদের হয়ে ভোট প্রচার করতে বেরিয়ে পড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষকে পাশে থাকার জন্যই আহ্বান করেছেন। কিন্তু ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীকে যে ভাবে শুভেন্দুবাবু আক্রমণ করেছিলেন, সেটা কি ভুলে গিয়েছেন শিশিরবাবু। মুখ্যমন্ত্রীকে কখনও বেগম, কখনও বাংলাদেশের ফুফা বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। আর ওনার ছেলে তো লাগাতার মুসলমানদের জেহাদি বলে চলেছেন। তাঁর বাবা হয়ে তিনি এই ধর্মীয় স্থানে যাচ্ছেন, এটা ভোট চমক ছাড়া আর কিছু না। ভোট মিটলেই আবার কেটে পড়বেন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শনিবারের মধ্যে কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছে যাবে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে

ঘাটাল লোকসভা জিততে গেলে মানুষের ভালোবাসা আদায় করতে হবে: দেব

কৃষ্ণনগরে আবার ইডি এলে সরপুরিয়া খেয়ে যাবে, খোঁচা মহুয়ার

শেখ শাহজাহানের জামিনের আর্জি খারিজ, জেল হেফাজতের নির্দেশ

রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে অলোক সিনহা

চাই পুরসভা, চাই পূর্ণাঙ্গ থানা, গলা তুলছে আমোদপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর