নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাঙড়ের(Bhangar) মাটিতে চলছে মহাযুদ্ধ। লক্ষ্য পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল। সেই যুদ্ধের আঁচ ক্রমশই তপ্ত হচ্ছে। এলাকার ISF নেতা তথা বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকি(Nowshad Siddiqui) কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার জন্য। সেই আর্জি গ্রহণও করেছে মোদি সরকার। তার জেরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(Amit Shah) নির্দেশে Z Category Security পাচ্ছেন নওশদ। সেই সিদ্ধান্ত সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেল সমানে সমানে টক্কর দিতে এবার Z Category Security পাচ্ছেন ভাঙড়ের দলীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিধায়ক শওকত মোল্লাও(Showkat Molla)। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নির্দেশে এই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে শওকতকে। অর্থাৎ ভাঙড়ের মাটিতে নওশদ ও শওকত দুইজনই ঘুরবেন Z Category Security নিয়ে।
আরও পড়ুন মমতার ‘উৎকর্ষ বাংলা’য় দেড় মাসে চাকরি পেল ১১০০জন
গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন নওশদ। আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সুপারিশেই তড়িঘড়ি নওশদকে নিরাপত্তা দেওয়ার বিষটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয় বলে সূত্রের খবর। এরফলে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি ও আইএসএফ জোট আরও স্পষ্ট হচ্ছে বলে সরব হয় তৃণমূল(TMC)। গত শনিবার ISF’র প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকীর একটি ভিডিও শোরগোল ফেলে দেয় রাজ্য রাজনীতিতে। সেই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল তৃণমূলের তরফেই। তাতে যেখানে আব্বাসকে বলতে শোনা যায় ‘আমরা যাঁরা বিজেপিকে ভালবাসি’। এরপরে পরেই তৃণমূলের তরফেই সামনে আনা হয় নওশদের সঙ্গে বিজেপির ‘চ্যাট’ যোগাযোগ যা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে করা হয়েছিল। আর এখন কার্যত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে সকলের কাছেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে তৃণমূলকে ঠেকাতে এখন গ্রাম বাংলার নীচুতলায় রীতিমত জোট গড়ে উঠেছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস ও আইএসএফের।
আরও পড়ুন বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুপ্রিম শুনানি মঙ্গলবার
ঠিক এই রকম অবস্থায় ভাঙড়ের দখল নিতে লড়াই ক্রমশ জমাট বাঁধছে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে। নওশদ ভাঙড়ের বিধায়ক হলেও শওকত তা নন। তিনি জেলারই(South 24 Pargana) বিধায়ক, কিন্তু ক্যানিং এলাকার। অথচ শওকতকেই তৃণমূলের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভাঙড়ের মাটি পুনঃরুদ্ধারের। এই অবস্থায় কিছুটা হলেও ভাঙড়ের বুকে শওকতের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। সেই প্রশ্নের জেরেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদ্দিন থেকেই শওকতকে Z Category Security দিয়ে দেওয়া হল। উল্লেখ্য ভাঙড়ের বুকে ২টি ব্লক মিলিয়ে রয়েছে জেলা পরিষদের ৬টি আসন, ২টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং মোট ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত। এই সব দখলের জন্যই এখন লড়াই তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে।
