নিজস্ব প্রতিনিধি: রিজওয়ানুর রহমান(Rijwanur Rahman)কে মনে আছে আপনাদের? বাম জমানার শেষ দিকে পার্কসার্কাসের যে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে কলকাতার পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতেও ঝড় উঠেছিল! সেই রিজওয়ানুর রহমানের দাদা রুকবানুর রহমান(Rukbanur Rahman) এখন তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) বিধায়ক। ৩ দফায় তিনি জয়ী হয়েছেন নদিয়া(Nadia) জেলার চাপড়া(Chapra) বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। এখন সেই চাপড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই রুকবানুরের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা তুলে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার পরিমাণ ২৪ লক্ষ টাকা।
চাপড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে একাধিক অভিযোগ উঠেছে যে রুকবানুর এবং তাঁর ‘ছায়াসঙ্গী’ শুকদেব ব্রহ্ম চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন এলাকাবাসীর কাছ থেকে। কিন্তু যারা টাকা দিয়েছিলেন তাঁদের কেউই আজ পর্যন্ত কোনও চাকরি পাননি। এমনকি চাকরি না পেয়ে তাঁরা টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। সেই টাকাও তাঁরা ফেরত পাননি বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও রুকবানুর ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে ফাঁসানোর জন্য এই সব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যদিও অভিযোগকাড়ীদের দাবি, ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি দেওয়ার নামে বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে টাকা নেন রুকবানুর। অনেকে বাড়ির ছেলের চাকরি জন্য জমি বিক্রি করেও টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তার পর ছ’ বছর কেটে গেলেও আজও কেউ চাকরি পাননি। টাকাও ফেরত পাননি।
গোটা ঘটনাটি সামনে এসেছে, এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগকারীরা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রুকবানুরের বিরুদ্ধে একটি চিঠি পাঠানোয়। এই বিষয়ে রুকবানুর জানিয়েছেন, ‘অভিযোগকারী যদি পঞ্চায়েত সদস্য জামশেদ আলি মণ্ডল হয়ে থাকেন, তবে একটা কথা বলতে পারি, তিনি তৃণমূলের টিকিটের পঞ্চায়েত সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিক করা প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট করার চেষ্টা করেছিলেন। সুতরাং, ওঁরা আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে দলের কাছে যখন জানতে চাওয়া হয়েছে, দলের তরফে নিশ্চয়ই জবাব দেওয়া হবে।’ অন্যদিকে অভিযোগকারীদের দাবি, চলতি বছরে ইদের দিনেও খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রুকবানুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন। দেখা করেছিলেন তাঁর মায়ের সঙ্গে। তাই এখন যদি অভিযোগ ওঠে তাহলে তাঁরা সুবিচার পাবেন এমনটাই মনে করছেন তাঁরা।