নিজস্ব প্রতিনিধি: গতবছর আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন শীতের মরশুমে মিলবে শৈত্যপ্রবাহ(Cold Wave)। শীত নাকি বহু রেকর্ড ভাঙবে আর গড়বে। যদিও সেই পূর্বাভাস মেলেনি। রেকর্ড ভাঙা তো দূরের কথা, শৈত্যপ্রবাহটুকুও মেলেনি। এখন আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে গ্রীষ্মের মরশুমে তাপপ্রবাহে(Heat Wave) দগ্ধ হবে দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) জেলাগুলি। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের ঘনঘটা থাকলে সেই তাপপ্রবাহ ধাক্কা খাবে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচেই থাকবে। আবহাওয়াবিওদরা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা হবে কালবৈশাখী(Kalbaishakhi) ঝড়ের হাত ধরেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হবে ও তা থেকেই ঝরবে বৃষ্টি। তবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে সেই ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, চলতি মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত একটানা তাপপ্রবাহের আশঙ্কা কমই থাকছে দক্ষিণবঙ্গের বুকে। এই ৩ মাসে তাপমাত্রার গড় স্বাভাবিকের থেকে নীচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন যত দিন যাবে, তত পারদ চড়বে। তবে এই উত্থান লাগামছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিয়মিত ঝড়বৃ্ষ্টি, কালবৈশাখী তাপপ্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে। সাহায্য করতে পারে পশ্চিমী ঝঞ্ঝাও। বঙ্গোপসাগরে বছরের প্রথম নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবারই মেঘলা হয়েছে বাংলার আকাশ। তবে সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলার পরিমণ্ডলে। তার জেরে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা শুকনো গরম থেকে রেহাই পেলেও ভ্যাপসা গরমে ভুগতে পারেন। তবে আশঙ্কাও থাকছে। কালবৈশাখী না হলে মার্চের শেষে কি এপ্রিলের প্রথম দিকেই দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি পার হতে পারে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে৷ সেক্ষেত্রে এপ্রিল আর মে মাসে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়বে বাংলা।