নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি চাকরি বা আর্থিক ক্ষতিপূরণ(Compensation) কিংবা বাড়ি সারাই ও নির্মাণের সাহায্য কখনই মৃত্যুর যথার্থ ক্ষতিপূরণ হতে পারে না। তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায় জীবন নির্বাহের। প্রশ্ন থেকে যায় ঘরসংসার চলার ক্ষেত্রেও। তাই বীরভূম জেলার রামপুরহাট থানার বকটুই(Boktui) গ্রামে অগ্নিসংযোগে ৮জন মানুষের মৃত্যুর মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রীতে ভাবতে হয় ক্ষতিগ্রস্থ ওই পরিবারগুলির জীবন আগামী দিনে কীভাবে চালিত হবে। তাই বৃহস্পতিবার বকটুই গ্রামে স্বজনহারাদের সঙ্গে দেখা করে ও তাঁদের কষ্টের কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) যেমন একদিকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিতে হয়েছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলি(Families) যাতে ভেসে না যায় সেই দিকটিও দেখতে হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখেই এদিন তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির জন্য ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন।
বকটুইয়ের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার যে কথাও ঘোষণা করেছেন সেখানে মোট ১০টি পরিবারকে ওই ক্ষতিপূরণের আওতায় আনা হয়েছে। এই তালিকায় আছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত ৮জনের পরিবার ও ভাদু শেখ ও তাঁর মেজ দাদার পরিবার। উল্লেখ্য ভাদু শেখের এই দাদা কয়েক মাস আগে খুন হলেও অভিযোগ পুলিশ সেই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপই করেনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন এই ১০টি পরিবারকেই ক্ষতিপূরণ প্রদান করার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘জীবনের বিকল্প চাকরি হয় না। তারপরেও আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যে ১০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাঁদের পরিবারের ১জন করে ১০জনকে আমি মুখ্যমন্ত্রী কোটায় সরকারি চাকরি দেব। প্রথম বছর ১০ হাজার করে পাবে। পরে স্থায়ী চাকরি করে দেওয়া হবে। যে সব বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলি আবার নির্মাণ ও সারাইয়ের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়কা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ বাবদ তাঁরা আরও ৫ লক্ষ টাকা করে পাবেন। যাঁর ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে, তাঁকে ১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে ক্ষত্রিপূরণ। বাকি আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ।’ এই সব ক্ষতিপূরণের টাকার চেক মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এদিন ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে তুলে দেন।