নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী প্রার্থীদের নিজয়োল্লাসের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি। শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ‘কলকাতা হাইকোর্টের চূড়ান্ত নির্দেশের উপরেই নির্ভর করছে জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য।’ অতি দ্রুতই বিষয়টি জয়ী প্রার্থীদের জানানোর জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ জয়ের শংসাপত্র হাতে পেলেও কার্যত জয় নিয়ে সংশয়েই থাকলেন গ্রাম বাংলার ভোটের সফল প্রার্থীরা।
চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, ‘সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে মামলার রায়ের উপরে।’ অর্থাৎ জনগণের আদালতে জিতলেও জয়ীর তকমা পাবেন কিনা, তা ঠিক করবে আদালত। ওই নির্দেশের কথা পঞ্চায়েতে জয়ী সব প্রার্থীকে জানানোর জন্য্যো রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের পরেই আইনজীবী মহলে জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কী পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিলের মতো নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেবে আদালত? যদিও প্রবীণ আইনজীবীদের মতে, নির্বাচন বাতিলের এক্তিয়ার নেই কলকাতা হাইকোর্টের। আদালতের
আগামী ২০ জুলাই এ সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই রাজ্যের সব জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। আর এদিনের ওই নির্দেশিকার ফলে কিছুটা হলেও মুষড়ে পড়েছেন জয়ী প্রার্থীরা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে শান্তিতে ভোট পর্ব মিটেছে সেখানকার জয়ী প্রার্থীরা কী অপরাধ করলেন?