নিজস্ব প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নয়, রাজ্য পুলিশের(Police) ওপরেই আস্থা রেখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন(State Election Commission) আগামী ২৬ জুন ভোট(Election) করাতে চলেছে পাহাড়ের জিটিএ(GTA) এবং সমতলে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের(Siliguri Mahakuma Parishad) নির্বাচনে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার ওই দুই নির্বাচনে রাজ্য পুলিশের ৮ হাজার কর্মীকে মোতায়েন করা হবে। যদিও এটা ঘটনা যে এবারের এই দুই নির্বাচনে বিরোধীরা এখনও কেন্দড়ীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কোনও দাবি তোলেনি। মনে করা হচ্ছে এর আগে ৩ দফার পুরসভা নির্বাচনে আদালতে একের পর এক মামলা ঠুকেও কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়ায় এবারে আর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বেশি বাক্য ব্যয় করতে চাইছে না বিজেপি ও বিরোধীরা। আবার অনেকে মনে করছেন, জিটিএ ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে তৃণমূলের খুব বেশি সাফল্যের সম্ভাবনা নেই বলেই বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করতে চাইছে না।
উল্লেখ্য আগামী ২৬ জুন দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিন্সস্ট্রেশন বা জিটিএ’র ৪৫টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে। এই নির্বাচনের জন্য এখনও পর্যন্ত ২৭৭জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৫জন হামরো পার্টির প্রার্থী, ৩৬জন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার প্রার্থী, ১২জন সিপিআই(এম) প্রার্থী, ১০জন তৃণমূল কংগ্রেসের, ৫জন কংগ্রেসের এবং ১৬৯ নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। আবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে এবার ৪টি ব্লকের ৪টি পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬টি আসনে এবং ৪টি ব্লকে ছড়িয়ে থাকা মোট ২২টি গ্রাম পঞ্চায়তের ৪৬২টি আসনে এই নির্বাচন হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন হবে মহকুমা পরিষদের ৯টি আসনেও। এই নির্বাচনে এবারে বিজেপির জেতার সেভাবে কোনও সম্ভাবনা না থাকায় কিবা জিটিএ, কিবা মহকুমা পরিষদ কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা সেভাবে গেরুয়া শিবিরকে দাবি করতে শোনা যাচ্ছে না। তাই পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে বড়সড় বিতর্ক দানা বাঁধারও কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই অনেকে মনে করছেন।