নিজস্ব প্রতিনিধি: শিল্পের জন্য (Industrial Land) সরকার বা উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে জমি নিয়ে যে শিল্পপতিরা ফেলে রেখেছেন। সেই জমি এবার ফিরিয়ে নিতে তৎপরতা বাড়াল নবান্ন (Nabanna)। পতিত জমি শিল্পপতিদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল নবান্ন। এবার সেই জমি ফেরানোর কাজ পাকাপাকিভাবে শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পড়ে থাকা জমির সমীক্ষা করে তার মালিককে নোটিস ধরাবে ভূমি দফতর।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব (Chief Secretary) এইচ কে দ্বিবেদীর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে পতিত জমি ফেরানো-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। নবান্ন (Nabanna) সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যদি কোনও সংস্থা বা শিল্পপতি শিল্পের নামে কম দামে জমি নিয়ে সেই জমি ফেলে রাখে, তাহলে লিজের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে সেই জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেগুলিতে অন্য শিল্পস্থাপনের চেষ্টা করা হবে। আর তা যদি না সম্ভব হয় তাহলে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে সেই জমি কৃষিজমিতে রূপান্তরের চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি রঘুনাথপুর-ডানকুনি, ডানকুনি-তাজপুর এবং ডানকুনি-কল্যাণী, এই তিনটি করিডরে সরকারি সংস্থার যে সব জমি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সেগুলিকে শিল্পের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু শিল্পসংস্থা জমি নিয়ে কারখানা করার পর কিছু দিন তা চালিয়ে, বন্ধ করে চলে যাচ্ছে। এর ফলে রাজ্যের কোনও লাভ হচ্ছে না। কেউ আবার জমি নিয়েও কোনও কারখানা করেনি। সেই সমস্ত শিল্পোদ্যোগী ও সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তবে যে সব চালু শিল্পসংস্থা সরকারের অনুমতি নিয়ে শিল্প সম্প্রসারণের জন্য নেওয়া জমি ফেলে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে এখন কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে খবর।
