নিজস্ব প্রতিনিধি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলায়(Bengal) থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর(Self Help Groups) মহিলাদের এবার উদ্যোগপতি রূপে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট হল রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর(Panchayat Department)। মহিলাদের নিয়ে তৈরি হবে ‘বিত্ত সখীদের দল’। গ্রামে গ্রামে যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ছোট বা বড় আকারের ব্যবসা করতে চান বা ইতিমধ্যেই সে কাজ করছেন, তাঁদের সাহায্য করবেন বিত্ত সখীরা। গোষ্ঠীর মহিলাদের ব্যক্তিগত ঋণের প্রয়োজন পড়লে, তাঁরা কীভাবে ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করবেন, প্রকল্প রিপোর্ট কীভাবে তৈরি করবেন, সেটা দেখার দায়িত্ব বিত্ত সখীদের। প্রাথমিকভাবে এই কাজে মাস্টার ট্রেনারদের(Master Trainer) একটি দল তৈরি করা হবে। তারা নিজের নিজের ব্লক ও গ্রামে গিয়ে বাকিদের প্রশিক্ষিত করে তুলবে।
আরও পড়ুন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের ওপর আবারও সুপ্রিম স্থগিতাদেশ
জানা গিয়েছে, বাংলার গ্রামগুলিতে বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে যাদের ব্যবসা ও কাজের পরিধি অনেকটা বিস্তৃত। এই কাজের জন্য স্বল্প সুদে যে পরিমাণ ঋণ তারা পায় তা অনেক ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয় বলে জানতে পেরেছেন পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে সদস্যদের নিজেদের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত ঋণের আবেদনই একমাত্র উপায়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে অনেকেই এমন রয়েছেন যাঁরা ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। এঁদের সাহায্য করতেই তৈরি হয়েছে বিত্ত সখীদের দল। ধরা যাক ক্রেডিট লিঙ্কেজ বা স্বল্প সুদে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ পেয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে একজন সদস্যরই প্রয়োজন ২ লক্ষ টাকা। সেক্ষেত্রে তো বাকিরা টাকা কম পাবেন। এবার যাঁর বেশি টাকার প্রয়োজন, তিনি কীভাবে সেটা ব্যাঙ্ক থেকে পাবেন, তাঁদের সাহায্য করার জন্যই এই বিত্ত সখীদের তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন দুবাইয়ে আটকে নদিয়ার ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরানোর আর্জি
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ঋণের জন্য অনেক খুঁটিনাটি কাগজপত্র বা নথিপত্র জমা দিতে হয়। সামান্য ভুল বা অসম্পূর্ণ আবেদন হলে তা বাতিল হয়ে যেতে পারে। এমনটা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করবেন বিত্ত সখীরা। এ বছর অন্তত ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এরকম দল তৈরি করতে চায় রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার ৩ দিনের প্রশিক্ষণ শেষও হয়ে গিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে অনেক স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা নিজেদের ব্যবসার যেমন বিস্তার ঘটাতে পারবেন তেমনই আগামিদিনে উদ্যোগপতি হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে তোলার সুযোগ পাবেন বলেই মনে করছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকেরা।