নিজস্ব প্রতিনিধি: শিক্ষকদের মারে প্রায় ৩৫ জন পড়ুয়ার জখম হওয়ার অভিযোগ উঠল। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জীবনতলার জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ক্যাম্পাসের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা মানেনি পড়ুয়ারা। আর তাতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। পড়ুয়াদের মারধর করার অভিযোগ উঠল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। জখম পড়ুয়াদের অভিযোগ, বুধবার রাতে জীবনতলার জওহর নবোদয় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আলো নিভিয়ে তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে। এর ফলে কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন পড়ুয়া জখম হয়। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় রাতেই। কিন্তু কেন পড়ুয়াদের মারধর করলেন শিক্ষকরা? স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে ফোন ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ রয়েছে। এমনকি আবাসিক পড়ুয়ারাও ব্যবহার করতে পারবেন না মোবাইল। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিছু পড়ুয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। স্কুলের তরফে তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ৩৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পড়ুয়াদের তরফে আরও অভিযোগ, মোবাইলগুলি উদ্ধার করার পর সেগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিছু মোবাইল ফোন জলে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, প্রতিবাদে পড়ুয়ারা বেশকয়েকটি বেঞ্চ, টেবিল ভাঙচুর করে।
অন্যদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতে ওই স্কুলের সামনে জড়ো হন অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনা নিয়ে এক অভিভাবক জানান, ফোন ব্যবহারের বিষয়টি অজুহাত। স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষকের আচার-আচরণ এবং ছাত্রদের সঙ্গে ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয় বলেই মারধর করা হয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাঁর কথায়, ‘শিক্ষকরা ছাত্রদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছে তা কোনওমতেই শিক্ষকসুলভ হতে পারে না। অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে ছোট ছোট ছাত্রদের উপর। এখানকার প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষকরা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছ স্কুলের মধ্যে। প্রচুর দুর্নীতির অভিযোগ আছে এই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এলাকার কোনও জনপ্রতিনিধিকে স্কুল কমিটিতে রাখা হয়নি যেটা সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।’ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।