নিজস্ব প্রতিনিধি: রবীন্দ্রস্মৃতি ধন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়(Viswabharati University) আজ এক ‘দানব’এর হাতে। আর সেই ‘দানব’ উপাচার্যের অপশাসনে পিষে মরছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া(Students) থেকে অধ্যাপক মায় কর্মীরাও। বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব ও পৌষ মেলা রাজ্যের প্রত্যেকের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। দুটিক্ষেত্রেই দূর দূরান্তের মানুষ জড়ো হতেন। মেতে উঠতেন আনন্দে। কিন্তু সেই ‘দানব’ উপাচার্য বন্ধ করে দিয়েছেন পৌষ মেলা। বন্ধ করে দিয়েছেন দোলের দিন অনুষ্ঠিত হওয়া বসন্ত উৎসবও। সেই ‘দানব’ উপাচার্যের দাবি, বসন্ত উৎসবের নামে সেই তাণ্ডব করা হয়। তাই বন্ধ ‘বসন্ত উৎসব’(Basanta Utsab)। পরিবর্তে এদিন সেখানে আয়োজিত হচ্ছে ‘বসন্ত বন্দনা’। সেখানেও ‘দানব’-এর দাপট বজায় থাকল। ‘বসন্ত বন্দনা’(Basanta Bandana)র অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা মার খেলেন বিশ্বভারতীরই নিরাপত্তারক্ষীদের(Security Guard) হাতে। আর সেটাও ওই ‘দানব’এর নির্দেশে।
আরও পড়ুন বঙ্গ বিজেপির জুলু’দা চলে গেলেন
বৃহস্পতিবারে রাতে বৈতালিকের মাধ্যমে শুরু হয়েছে বসন্ত বন্দনা। শুক্রবার সকালে গৌড় প্রাঙ্গণের মঞ্চে ‘ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল’ গানের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। সেখানেই আবির খেলায় মেতে ওঠেন ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। তাতেই চটে লাল যান ‘দানব’ উপাচার্য। নির্দেশ দেন নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে যারা রঙ খেলছে তাঁদের পিটিয়ে ঠান্ডা করে দিতে। অন্তত তেমনই অভিযোগ মার খাওয়া পড়ুয়াদের। আবির খেলার ‘অপরাধে’ উপাচার্যের নির্দেশে বেধড়ক মারধর করা হয় পড়ুয়াদের। তার জেরে এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বভারতীতে। অন্যান্য পড়ুয়ারা আহত ছাত্রের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে ‘দানব’ উপাচার্যের বিরুদ্ধে। বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব ও পৌষ মেলা রাজ্যের প্রত্যেকের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হলেও এবার শুধুমাত্র পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও কর্মীরাই সামিল হতে পারছেন। বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসী, পর্যটক, এমনকি প্রাক্তনীদের ও প্রবেশে নিষেধ। যা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছেন না কেউ। তার মধ্যেই ‘দানব’ এর দানবীয় অপশাসন নেমে এল বসন্ত বন্দনায়।