এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

নিয়োগকাণ্ডে নাম জড়িয়ে দলেই কোনঠাসা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: দলেই কোনঠাসা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা দলের সাংসদ। নাম তাঁর সুভাষ সরকার(Subhash Sarkar)। বাংলারই এক লোকসভা কেন্দ্র বাঁকুড়া(Bankura) থেকে তিনি ২০১৯ সালে সাংসদ(BJP MP) হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্রের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী হয়েছেন আরও বছর আড়াই বাদে। কিন্তু দোরে যখন আরও একটা লোকসভার ভোট কড়া নাড়ছে ঠিক তখনই তাঁর বিরুদ্ধে উঠছে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। আর তার জেরেই নিজ দলে এখন চূড়ান্তভাবে কোনঠাসা হয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। পাশে দলের জেলা সভাপতি ভিন্ন আর কেউ নেই। যা পরিস্থিতি তাতে পদ্মশিবিরের অনেক নেতাই এখন প্রকাশ্যেই স্বীকার করছেন, ২৪’র টিকিট পাওয়া আর সম্ভব নয় সুভাষের পক্ষে।

দিন কয়াক আগের কথা, সুভাষ সরকারকে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনা ঘটেছিল বাঁকুড়া শহরে থাকা বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। সেদিন মূল অভিযোগ ছিল শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী জেলায় দলের অন্দরে নিজের একানায়কতন্ত্র কায়েম করেছেন। স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, সেদিন যে ঘরে মন্ত্রী বৈঠক করছিলেন, বাইরে থেকে বিক্ষুব্ধরা সেই ঘরেরই দরজায় তালা লাগিয়ে দেন। মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেদিন ভয়ে এক কোনে চলে গিয়েছিলেন। শেষে রাজ্যের পুলিশ বাহিনী গিয়ে উদ্ধার করেছিল মন্ত্রীকে। ওই বিক্ষোভ সেদিন যারা দেখিয়েছিলেন তাঁরা কেউই তৃণমূল, সিপিআই(এম) বা কংগ্রেসের কর্মী নন। তাঁরা সকলেই বিজেপির কর্মী। এখন তাঁরা নতুন করে অভিযোগ তুলছেন, কল্যাণী এইমস-সহ একাধিক ক্ষেত্রে লোক নিয়োগের ঘটনায় যে দুর্নীতি ঘটেছে তাতে সুভাষ সরকারের প্রত্যক্ষ মদত আছে। সেই অভিযোগ তুলেই তাঁরা বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল(Sunil Rudra Mondol) ও সুভাষ সরকারের ব্যক্তিগত সহকারী শানু কুণ্ডুর(Shanu Kundu) নামে বাঁকুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আর এই সব ঘটনার জেরেই এখন সুভাষকে নিয়ে ভাবতে হচ্ছে পদ্মশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই সুভাষকে বাঁকুড়া থেকে টিকিট দেওয়া হয়। কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রীও করা হয়। কিন্তু এখনও অবধি তিনি না মন্ত্রী হিসাবে কোনও উল্লেখযোগ্য কাজ করে দেখাতে পেরেছেন না দলের সাংগঠনিক কোনও বিস্তার ঘটাতে পেরেছেন নিজ সংসদীয় কেন্দ্র বা জেলা কিংবা রাজ্যে। দলকে কোনও নির্বাচনে জয়ের মুখও দেখাতে পারেননি। বাংলায় বিজেপি যেটুকু জয়ের মুখ দেখেছে তা মোদি ক্যারিশ্মার জোরে। এরওপর এখন যেভাবে সুভাষের বিরুদ্ধে দলেরই নেতাকর্মীরা মুখ খুলতে শুরু করেছে তাতে তাঁকে ফের ২৪’র যুদ্ধে প্রার্থী করলে ভরাডুবি অবশ্যম্ভাবী। তাই এখন খোঁজ চলছে দলের যোগ্য প্রার্থীপদের জন্য।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ধারের টাকা ফেরত না দেওয়া নিয়ে বচসা, পিটিয়ে  খুন মা-মেয়ে

৭ দিনের মধ্যে মুখোশ খুলব, টুইটে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

‘মায়ের ঝাণ্ডার কি দাম! যে কড়াইয়ে রান্না করেন, তা মাথায় মারলে বুঝবি’

‘চলুন বদলাই, চলুন পাল্টাই’, মালদায় মমতার মুখে পরিবর্তনের ডাক

দেবাশিষের সুপ্রিম ধাক্কা, কমিশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর শীর্ষ আদালতের

মানবতাই ধর্ম, প্রচারে বেরিয়ে অন্য ভূমিকায় বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী  

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর