নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের ভোটে গোহারা হেরেও শিক্ষা হয়নি। ভবানীপুর উপনির্বাচনে ফের ধাক্কা খায় বিজেপি। দল ভাঙছে, কমছে সাংসদ বিধায়ক। তাও হুঁশ নেই রাজ্য বিজেপির। এখনও জেতার আশা করছে যে কোনও ভোটে। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যে চার আসনে উপনির্বাচন। নিজেদের একুশের ভোটে জেতা দুই আসন দিনহাটা ও শান্তিপুর ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তাই বাংলাদেশে মৌলবাদীদের দুর্গা প্রতিমা ও হিন্দুদের উপর আক্রমণকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে বাংলায় ভোটে লড়তে চাইছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই তিনি দাবি করেছেন বাংলাদেশের ঘটনার পর কৃষ্ণনগর আসনে তিনগুণ ভোটে জিতবে বিজেপি প্রার্থী।
রবিবার তিনি জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনার পর আরও তিনগুণ বেশি ভোটে এই আসনে জিতবে বিজেপি। বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। ওপার বাংলা থেকে অত্যাচারিত হয়ে মানুষজন এখানে এসেছে। ওপার বাংলায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোয় যা হয়েছে, তার উত্তর শান্তিপুরের মানুষ দেবে। বিজেপি-তে ব্যক্তি কোনও প্রাধান্য পায় না। এটা আদর্শের ভোট। বিচারধারার ভোট। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভোট। যদিও কারও কোনও প্রভাব থাকে এই নির্বাচনে, তবে তা নরেন্দ্র মোদির। বিজেপি একটি সর্বভারতীয় দল। শান্তিপুর বিধানসভার মানুষ উপনির্বাচনে বিজেপি-কে ভোট দিয়ে আরও একবার জয়যুক্ত করবে। আমি আশাবাদী সবথেকে বেশি ভোটে লিড দেবে শান্তিপুর।’
যদিও এদিন গোষ্ঠীকোন্দলের কথা জিজ্ঞাসা করতেই ক্ষেপে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সাংবাদিকদের চটি চাটা বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভায় জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। প্রায় ১৬ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সাংসদ পদ বাঁচাতে বিধায়ক পদ ছাড়ায় ফের নির্বাচন হচ্ছে এই আসনে।