নিজস্ব প্রতিনিধি: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতে দেখা যায় জেলার জয়জয়কার। তাক লাগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সায়নদীপ সামন্ত। সারা দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করত এই পড়ুয়া। শুক্রবার ফল প্রকাশের পর এমনটাই জানাল সে। পাশাপশি পড়ুয়াদের জন্য তার পরামর্শ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকার।
শুক্রবার সায়নদীপ জানায়, সোশাল মিডিয়ায় সময় কাটাইনি। ফল ভালো হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু এতো ভালো হবে ভাবতে পারিনি। বস্তুত সায়নদীপ ৫০০’র মধ্যে ৪৯৭ পেয়েছে। ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার জলচক নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনের এই ছাত্র। একইসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে দ্বিতীয় হওয়া এই পড়ুয়া জানায়, ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম বাড়িতে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। ক্রিকেট খেলা পছন্দ করি। আগামীর পরীক্ষার্থীদের প্রতি তার পরামর্শ, পড়ুয়াদের উচিত, পরীক্ষার সময় বিভিন্ন সোশাল সাইট, যেমন- ফেসবুক, টুইটার থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখা।
বরাবরই পড়াশোনায় ভালো সায়নদীপ সামন্ত। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের বলপাই গ্রামের বাসিন্দা সায়নদীপ। তার বাবা মদন সামন্ত পেশায় একজন শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। উচ্চমাধ্যমিকের আগে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিকে ৬৩৮ পেয়েছিল সায়নদীপ। এর পর পিংলার জলচক নটেশ্বরী নেতাজি বিদ্যায়তনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয় সে। সেই স্কুল থেকেই এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় এই পড়ুয়া। সায়নদীপের মা রিঙ্কু সামন্ত ছেলের পড়াশোনার জন্য ভাড়া থাকেন মেদিনীপুর শহরে। ছেলের এমন ফলে খুশি মা রিঙ্কু সামন্তও। সায়নদীপ জানায়, ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় সায়নদীপ। সেই লক্ষ্যে জয়েন্ট পরীক্ষায় বসার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে এই পড়ুয়া।