এই মুহূর্তে

অনন্তদেবের দাবিকে সমর্থন করলেন সিপিএমের সুজন

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের(Partha Chattopadhay) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি(ED) বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের আধিকারিকেরা। সেখানেই মিলেছিল উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর(Anantadeb Adhikari) নাম দেওয়া লেটারহেডের একটি সুপারিশপত্র। সেই চিঠিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের(SSC) চতুর্থ শ্রেণির(Group-D) কর্মী পদে নিয়োগের জন্য ৫জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই ৫জনের মধ্যে ২জন আবার খোদ বিধায়কের ছেলে। এই তথ্য সামনে আসার পরেই যাবতীয় নজর গিয়ে পড়েছিল অনন্তদেব অধিকারীর ওপর। সেই বিষয়ে মঙ্গলবার মুখ খুলেছেন বিধায়ক। আরও লক্ষ্যণীয় অনন্তদেবের দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন সিপিআই(এম)’র প্রাক্তন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী(Sujan Chakrabarty)।

ঠিক কী বলেছেন অনন্তদেব? ময়নাগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা সেখানকার পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধানের দাবি, ‘২০১৬ সালে পার্থদা যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি নিজেই দলের সব বিধায়কদের ৫ জনের নাম লেটারহেডে সুপারিশ করে পাঠাতে বলেছিলেন। পার্থদা চেয়ে পাঠানোয় আমি আমার লেটারহেডে ৫ জনের নাম সুপারিশ করে পাঠাই। আমার ছেলেমেয়ে দু’জনেই স্নাতকোত্তর পাশ, টেট উত্তীর্ণ। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সুপারিশে ওদের নামও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়েছিলাম। কিন্তু যাদের নাম সুপারিশ করেছিলাম তাঁরা কেউ চাকরি পায়নি। আমার ছেলেরাও চাকরি পায়নি। যোগ্যতা থাকলেও ওদের নিয়োগ হয়নি। এখন বোঝাই যাচ্ছে, তখন টাকা ছাড়া নিয়োগ হয়নি। আমার সুপারিশ তো গ্রহণ করেনি, তাই হয়তো ওটা বাড়িতেই ছিল। আমরা, তৃণমূল বিধায়করা সেই সময়ে সবাই সুপারিশের চিঠি পাঠিয়েছিলাম। যদিও অন্য বিধায়কদের সুপারিশে কারও চাকরি হয়েছে কি না, তা অবশ্য আমার জানা নেই। আর এ সব নিয়ে এখন বিতর্ক করে কী লাভ!’

অনন্তের এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন সিপিআই(এম)-এর প্রাক্তন বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিধায়কদের যে নামের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে তা আমি মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিধানসভায় বলেছিলাম। আমি তখন বিধানসভার সদস্য ছিলাম। কার্যত প্রায় প্রকাশ্যে পরিষদীয় দল ও মুখ্য সচেতকের দফতর বিধায়কদের বলেন, বাকি কোথায় আমরা টাকা পয়সা নিয়ে কী করব আপনাদের ভাবতে হবে না। যা পারি আমরা করব। সব ব্যাপারে নাক গলাবেন না। আপনারা ৫ জন করে নাম দিন। তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা আমরা করব। বিধায়কদের কাছে নির্দেশ ছিল। বিধায়করা সেই নামের তালিকা দিয়েছেন। কেউ কেউ ৫ এর থেকে বেশি নাম দিয়েছে। অনেক জায়গায় এটা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। বিধায়কদের যে নাম দিতে বলা হয়েছে সেটা বিধানসভায় উল্লেখ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী তখন বিধানসভায় ছিলেন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দইয়ের পর এবার হুগলীর ঘুগনিতে মুগ্ধ রচনা, খেলেন আবার খাওয়ালেনও

‘ভগবানের’ প্রার্থীপদ খারিজের দাবি তৃণমূলের, নেপথ্যে মৃত্যু কামনা

ভাটপাড়া থেকে নিখোঁজ ছাত্রীকে বিধাননগর স্টেশন থেকে উদ্ধার করল পুলিশ

হরিশচন্দ্রপুরের জমির সমস্যাকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতী হামলা ,এলাকায় উত্তেজনা, ঘটনাস্থলে পুলিশ

১০০ দিনের কাজের মজুরি বৃদ্ধিতেও বাংলাকে বঞ্চনা কেন্দ্রের

বিজেপিকে হতাশ করিলেন রেখা, পাচ্ছেন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর