নিজস্ব প্রতিনিধি: রথের দিন বড়সড় দুর্ঘটনার(Accident) হাত থেকে প্রাণে বাঁচলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি(Contai) মহকুমার মারিষদা(Marishda) থানার দুরমুঠ এলাকায় শুভেন্দুর কনভয়ে(Convoy) একটি ট্রাক এসে ধাক্কা মারে। সেই ঘটনায় শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। গাড়িতে থাকা ১জন জওয়ান তাতে গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন বলেও বেসরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরেই পুলিশ(Police) ওই ট্রাকটি পাকড়াও করার জন্য তার পিছু ধাওয়া করলেও সেটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আর তার জেরেই প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনা কী নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে রয়েছে গভীর কোনও ষড়যন্ত্র? আর পুলিশ ধাওয়া করার পরেও সেই ট্রাক বেপাত্তা হয় কী করে? নাকি পুলিশই তাকে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দিয়েছে? এই ঘটনার জেরে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে শুভেন্দু অনুগামীদের মধ্যে। তবে দুর্ঘটনায় শুভেন্দুর কোনও ক্ষতি হয়নি বলে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে গেরুয়া শিবির।
শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় ট্রাকের ধাক্কা। সেইসময়ই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে ধাক্কা মারে ট্রাক। কাঁথির বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানে যাওয়ার পথে মারিষদা থানার দুরমুঠের কাছে নন্দকুমারের দিক থেকে আসা ওই লরিটি শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িতে ধাক্কা মারে সামনের দিক থেকে। যদিও সেই গাড়িতে ছিলেন না শুভেন্দু। তিনি ছিলেন তার পিছনের গাড়িতে। ট্রাকের ধাক্কায় ওই গাড়িটির সামনের দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আহত হন গাড়ির চালক ও এক নিরাপত্তারক্ষী। শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা পুলিশের গাড়ি সেই ঘাতক ট্রাকটিকে ধরার জন্য ধাওয়া করলেও সেটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আর তার জেরেই এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। উল্লেখ্য ঠিক এভাবেই বেশ কিছু বছর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) গাড়িতেও একটি ট্রাক এসে ধাক্কা মেরেছিল। তার জেরে অভিষেকের চোখ গুরুতর ভাবে জখম হয়। কার্যত সেই ঘটনারই পুনঃরাবৃত্তি যেন ঘটল এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে। তবে বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন শুভেন্দু।