নিজস্ব প্রতিনিধি,টাকি: মাটি নয়, থার্মোকলের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে বাড়িতে পুজো অর্চনা করেন বসিরহাটের টাকির কিশোর। বসিরহাটের টাকির(Taki) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টাকি কুলেশ্বরী মন্দির থাকায়, স্থানীয় রীতি অনুযায়ী ওই এলাকায় কেউ কোন মাটির প্রতিমা তৈরি করে পুজা করতে পারবে না। আর সেজন্যই মাটি নয়, থার্মোকল দিয়েই দুর্গা প্রতিমা(Durga Pratima) তৈরি করল একাদশ শ্রেণির ছাত্র রুদ্র বোস।শহর কিংবা গ্রামে থিমের দুর্গার অভাব নেই। শিল্পীরা নানা আঙ্গিকে ফুটিয়ে তোলেন দেবী মূর্তিকে। মৃন্ময়ী মূর্তি হয়ে ওঠে চিন্ময়ী। কিন্তু এই কিশোর আদতে কোনও মৃৎশিল্পী নয়। টাকি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বছর সতেরো’র কিশোর রুদ্র বোস নিজের খেয়াল খুশি ও ইচ্ছামতো বিভিন্ন মূর্তি বানায়।
কাগজ থার্মোকল আঠার উপকরণ দিয়ে তৈরী করেন দেবীর গয়না থেকে শুরু করে মুকুট। সব কিছু নিজের হাতে অনবদ্য দক্ষতায় গড়ে তোলেন কিশোর। তেমনভাবেই সে বানিয়েছে কাগজের দুর্গা। পূজার সময় প্রতিমাকে ঘিরে পুজোর অঞ্জলি থেকে শুরু করে সবরকম কর্মকাণ্ড শুরু হয়। তাঁর তৈরি কাগজ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি দেখতে বাড়িতে মাঝেই মাঝেই ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক মানুষ। আসলে কাগজের মাতৃ প্রতিমা তৈরি করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে বসিরহাটের রুদ্র বোস।
অভিজ্ঞ শিক্ষকের দ্বারা প্রশিক্ষণ নেয়নি কিশোর। পেপার কাটিং তাঁর পছন্দের আর্ট। পাঁচ ছয় বছর বয়স থেকেই এই কাজ করে আসছে সে। যেকোনো মূর্তি দেখে সে প্রথমে সেই ছবি এঁকে ফেলে কাগজে। এরপর পেপার কাটিং(Paper Cutting) করে মূল স্ট্রাকচার তৈরি হয়। তারপর তৈরি হয় কাঠামো। তারপর নিজের ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে করতেই তৈরি হয় দেবী মূর্তি।পরিবারের মধ্যে কারো সমর্থন বেশি ,কারো সমর্থন কম পেলেও, রুদ্র তাঁর বাবা প্রদীপ বোস ও কাকা প্রণব বোসেকে কাছে পেয়েছে সব সময়ই। সব মিলিয়ে রুদ্রর তৈরি প্রতিমা ওই এলাকায় দুর্গা পুজোয় যেন নতুন রূপ দিতে শুরু করেছে।