নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের নাম জড়ানোয় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে দুর্নীতির অভিযোগে যে কেবল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জড়িত এমনটা নয়, চাকরি দেওয়ার নাম করে এর আগে একাধিক বিজেপি (BJP) নেতা টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। খোদ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) প্রভাব খাটিয়ে নিজের পছন্দের লোকজনকে চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিল জোড়াফুল শিবির। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল চাকরি দেওয়ার নাম করে যুবক যুবতীদের কাছ থেকে প্রায় ৩২ লাখ টাকা নেওয়ার। ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতারিতরা।
অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার চৌখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বলিবাড় বুথের বিজেপির সভাপতি মোহনলাল মাইতি। হলদিয়ায় একাধিক শিল্পসংস্থায় চাকরি করে দেওয়ার নাম করে ৩৯ জন বেকার যুবকের কাছ থেকে ৩২ লাখ টাকা তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু চাকরি না দিতে পারায় প্রতারিতরা চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। থানায় অভিযোগও দায়ের হয়। অবশেষে জমি বিক্রি করে ২৩ লাখ টাকা ফেরালেন মোহনলাল।
প্রতারিতদের অভিযোগ, মোহনলাল মাইতি সিপিএমের আমলে ১০ বছর পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে শিবির বদল করে তৃণমূল কংগ্রেস হয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। স্বাস্থ্যদফতরের গ্রুপ–ডি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অশোক জানা নামের এক ব্যক্তির ছেলের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই বিজেপি নেতা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে বিজেপি নেতা মোহনলাল জানান, চাকরির জন্য অনেকে আমার কাছে আসেন। আমি অশোকবাবুকে সুতাহাটার দূর্বাবেড়িয়া গ্রামের একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলাম। উনি তাঁকে টাকা দিয়েছেন। আমি কোনও টাকা নিইনি।