নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচন যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঠিক তখন বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) নীচুতলায় মাথাচাড়া দিচ্ছে দলেরই কর্মীদের(Party Workers) ক্ষোভ। নানা বিষয়ে তাঁদের সেই ক্ষোভ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে যেতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এই সব বিক্ষুব্ধ কর্মীদের দাবি, তাঁরা জীবনবাজি রেখে বা নিজেদের গ্যাঁটের টাকা খরচ করে দল করলেও ভোট পরবর্তী হিংসায় দলের ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। শুধু তাই নয়, তাঁদের অভিযোগ, দুর্দিনে কর্মীদের পাশে থাকেন না বিজেপি নেতৃত্ব। তা সে দলের রাজ্য নেতৃত্বই হোক কী কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই ক্ষোভের আঁচ পেয়েছেন এরাজ্যে দলের ‘বিস্তারক’ হিসাবে আসা পদ্মনেতারা। শুধু তাই নয়, বঙ্গ বিজেপি নীচুতলার কর্মীদের বড় অংশেরই অভিযোগ বাংলা থেকে নির্বাচিত বিজেপির সাংসদ(BJP MP’s) থেকে শুরু করে বিধায়কেরা(BJP MLA’s) দলেরই কর্মী বা সমর্থকদের সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকি প্রয়োজনের সময়ে তাঁদের কাউকেই পাওয়া যায় না।
বিজেপি কর্মীদের এই অভিযোগ এখন সব থেকে বেশি শোনা যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ(North Bengal) ও জঙ্গলমহলের(Jungalmahal) বুকে। এই দুই এলাকা থেকেই উনিশের লোকসভা ভোটে সব থেকে বেশি আসন পেয়েছিল বিজেপি। উত্তরবঙ্গের ৮টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছিল ৭টি আসন। অন্যদিকে জঙ্গলমহলের ৫টি আসনের সবকটিই গিয়েছিল পদ্মের দখলে। যদিও একুশের ভোটে এই দুই এলাকাতেই জমি ফিরে পেয়েছে তৃণমূল। এখন যখন নতুন করে আরও একটা লোকসভা নির্বাচন(General Election 2024) দুয়ারে কড়া নাড়ছে তখন বিজেপির সাংসদ থেকে বিধায়কদের নিয়ে এই দুই এলাকা থেকেই সব থেকে বেশি অভিযোগ সামনে আসছে। সেই সব অভিযোগ যেমন এলাকার বাসিন্দারা তুলছেন, তেমনি তুলছেন বিজেপির নীচুতলার কর্মী থেকে সমর্থকেরা। সেই ক্ষোভের আঁচ পেয়েই এখন পদ্মের শীর্ষ নেতৃত্ব মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন যে, ২৪’র ভোটে এই দুটি এলাকার ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি কেন্দ্রে প্রার্থী পরিবর্তন করা হবে। নিয়ে আসা হবে নতুন মুখ। নাহলে এই বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ভোটের সময়ে ঘরে বসে থাকবেন। দলের হয়ে তাঁরা কাজে নামবেন না।