নিজস্ব প্রতিনিধি: এইবার হার্ট ও হাড়ের চিকিৎসার মতো অত্যন্ত ব্যয়বহুল ক্ষেত্রে ২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হল রাজ্যবাসীর জন্য। কথায় কথায় যাতে গ্রামীণ এলাকার মানুষকে হাজার হাজার টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে কলকাতামুখী হতে না হয়, সেজন্য এবার জেলায় জেলায় ক্যাথল্যাব বসানো হচ্ছে। কলকাতার সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতেও হৃদরোগ চিকিৎসার পরিকাঠামো আরও আধুনিক করা হচ্ছে। ১১টি ক্যাথল্যাব(Cathlab) কিনছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর(Health Department)। তার মধ্যে ৫টি পাচ্ছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ(Calcutta Medical College and Hospital), ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ(National Medical College and Hospital), আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, এন আর এস মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং এসএসকেএম হাসপাতাল। ১টি পাচ্ছে স্নায়ুরোগ চিকিৎসার অন্যতম প্রতিষ্ঠান বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস। এছাড়াও কল্যাণী, বর্ধমান, বাঁকুড়া সম্মিলনী, উত্তরবঙ্গ এবং মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাবে একটি করে। সামগ্রিকভাবে এই ১১টি ক্যাথল্যাব কেনার জন্য সরকার বরাদ্দ করেছে ১১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে হাঁটু, কোমরের হাড় প্রতিস্থাপন এবং হাড় ভাঙার সমস্যায় দামি দামি অর্থোপেডিক ইমপ্ল্যান্ট(Orthopedic Implants) এবার জেলায় জেলায় বিনা পয়সায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। যাতে এইসব সমস্যার চিকিৎসা জেলার মধ্যেই মেলে। সহজেই যাতে অপারেশন করা যায়। যন্ত্রের অভাবে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে না হয়, বা কলকাতামুখী হতে না হয়। এই অর্থোপেডিক ইমপ্ল্যান্ট রাজ্যজুড়ে নিখরচায় দিতে ১৩ কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য। বাংলার বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোর(District Reserve Store) মিলিয়ে ৪৭টি জায়গায় সরবরাহ করা হচ্ছে এইসব মহার্ঘ অর্থোপেডিক ইমপ্ল্যান্ট। হাসপাতাল বা ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোর ভেদে ১০ লক্ষ টাকা থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এই খাতে। যে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাড়ের সমস্যায় এইসব ইমপ্ল্যান্টের সুযোগ পাচ্ছে, সেগুলি হল বাঁকুড়া, বর্ধমান, কোচবিহার, উত্তরবঙ্গ, ডায়মন্ডহারবার, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, ন্যাশনাল, আর জি কর, এন আর এস, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, কল্যাণী, বারাসত, সাগর দত্ত, মেদিনীপুর, তাম্রলিপ্ত, পুরুলিয়া, রামপুরহাট এবং রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।