নিজস্ব প্রতিনিধি: সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court) ধাক্কা দিয়েছিল আগেই। এবার কলকাতা হাইকোর্টও(Calcutta High Court) ধাক্কা দিল। রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের(West Bengal State Government Employees) একাংশ কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্য ভাতা বা DA চেয়ে আন্দোলন করছেন। যদিও সেই আন্দোলনের কোনও সফলতা তাঁরা এখনও পাননি। রাজ্য সরকার(West Bengal State Government) তাঁদের দাবি মেনে নেয়নি, মেনে নেওয়া সম্ভবও নয়। এই বিষয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টেও। সেই মামলা শুনানি হওয়ার কথা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই শুনানি দ্রুত করার আবেদন জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই আর্জি আগেই নাকচ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই আন্দোলনকারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল আগামী ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর তাঁরা নবান্নের বাস স্ট্যান্ডে ধর্না দেবেন। পুলিশ সেই ধর্নার অনুমতি না দেওয়ায় তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁদের সেই আর্জি একরকম খারিজই করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভার জন্য নবান্ন বাস স্ট্যান্ড ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর সভা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁদের সেও আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। যদিও হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে, ধর্নার জন্য আবেদন এসেছিল ঠিকই, কিন্তু সেই আবেদন নিয়ে পুলিশের তরফে হ্যাঁ বা না, কিছুই জানানো হয়নি। তার আগেই আন্দোলনকারীরা কলকাতা হাইকোর্টে চলে গিয়েছেন। এদিন শুনানির পরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানিয়ে দেন, ‘আপনারা ময়দানে বসে প্রতিবাদ করছেন। করুন। কিন্তু আবার নবান্নের কাছে কেন? আর হাওড়ার ওই জায়গা যথেষ্ট ব্যস্ত। তাই ওখানে বসার অনুমতি দেওয়া সমস্যা।’ যদিও বিচারপতি শেষ পর্যন্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। সম্ভবত এই মামলার শুনানি সোমবার। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মহলের ধারনা, বিচারপতি নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, আর্জি রাখা সম্ভব নয়। এরপরে নাম কা ওয়াস্তে শুনানি হবে ঠিকই, কিন্তু বিশেষ লাভ কিছু হবে না।