নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভার ভোটের(General Election 2024) মুখে বড়সড় বিতর্কের মুখে লাল ঝান্ডা। সিপিআই(এম)’র(CPIM) যুব সংগঠনের ‘ইনসাফ যাত্রা’য় দেখা গেল জঙ্গলমহলের(Junglemahal) বুকে বাম জমানার একদম শেষ দিকে ঘটে যাওয়া নেতাই গণহত্যাকাণ্ডের(Netai Mass Killing) জেল খেটে আসা অভিযুক্তদের। বাঁকুড়া থেকে সোমবার রাতে যাত্রা পৌঁছেছিল জঙ্গলমহলের লালগড়ে। ধরমপুরের যে সিপিএম জোনাল অফিস জ্বলে গিয়েছিল ‘গণরোষে’, সেই পার্টি অফিসের সামনে মিছিলকে ফুল ছড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাতে দেখা গিয়েছে, নেতাই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ফুল্লরা মণ্ডলকে। সেই ঘটনার ভিডিও ও ছবি দুই এখন ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা এখন বামেদের কাছে শুধু বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে তাই নয়, রাজ্য রাজনীতিতে তাঁদের রীতিমত মুখ পোড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার সকালে ধরমপুর থেকে যখন ফের যাত্রা শুরু হয়, তখন সেই মিছিলে হাঁটতে দেখা যায় নেতাই গণহত্যাকাণ্ডের অপর দুই অভিযুক্ত অনুজ পান্ডে ও ডালিম পান্ডেকে।
জঙ্গলবনহলের বুকে লালগড়ের নেতাই গণহত্যা ঘটেছিল ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি। সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গুলি চালিয়ে ৯জন গ্রামবাসীকে খুন করেছিল সিপিএমের হার্মাদবাহিনী। সেই ঘটনায় রাজ্যের তৎকালীন বিরোধী দল তৃণমূলের(TMC) তরফে CBI তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল যা আদালত মেনেও নেয়। সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন অনুজ, ডালিম, ফুল্লরারা। চলতি বছরের প্রথম দিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান তাঁরা। তার পরে গত বইমেলায় ফুল্লরাকে দিয়ে বইয়ের স্টল উদ্বোধন করিয়েছিল সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI। মহিলা সংগঠন বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে নিয়ে গিয়ে সভা করিয়েছিল। সেই তিনিই ইনসাফ যাত্রায় মিনাক্ষীদের অভ্যর্থনা জানিয়েছেন লালগড়ের বুকে। এখন বাম শিবিরের অনেকেই নাক কোঁচকাছেন এই ঘটনায়। তাঁদের দাবি, খুনের অভিযুক্তদের এভাবে সামনে এনে মিছিল করে কী বার্তা দিতে চাইছে লাল ঝান্ডা!