নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায় ১০ মাস আগে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI’র হাতে। কিন্তু এখনও তিনি বিধায়ক এবং একই সঙ্গে রাজ্য পরিবহণ নিগমের পদাধিকারিকও। জেলবন্দি বিধায়ক যে এই সরকারি পদে রয়ে গিয়েছেন তা সে ভাবে এই ১০ মাসে নজরে পড়েনি রাজ্য প্রশাসনের কোনও আধিকারিকের। কিন্তু সম্প্রতি এক বৈঠকে যোগ দিতে তাঁর নামে চিঠি ইস্যুকে কেন্দ্র করেই গোটা ঘটনাটি প্রশাসনের অন্দরমহলে শোরগোল ফেলে দেয়। বিষয়টি কানে যায় মুখ্যমন্ত্রীরও। শেষে তাঁর নির্দেশেই এখন শুরু হয়েছে ওই জেলবন্দী বিধায়ককে সরকারি পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া। এই বিধায়ক হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার(Murshidabad District) বড়ওয়ান বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহা(Jiban Krishna Saha)।
একুশের ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন জীবন। ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল CBI তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্যের স্কুলে স্কুলে ঘটে থাকা নিয়োগ দুর্নীতির(School Teachers Recruiting Scam) ঘটনার তদন্তে নেমে। বিধায়ক হয়ে জীবনকে রাজ্য পরিবহণ নিগমের বোর্ড অফ ডিরেক্টরসদের মধ্যে শামিল করা হয়েছিল। গ্রেফতারির পরে তিনি নিজে থেকে কিন্তু সেই পদে ইস্তফা দেননি। এমনকি দলের তরফেও তাঁকে না এই পদ থেকে না বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। জীবন অবশ্য দলের কোনও পদে নেই। কিন্তু এখনও তিনি বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি রাজ্য পরিবহণ নিগমের বোর্ড অফ ডিরেক্টরসদের একজন। কিন্তু এবার এই পদ হারাতে চলেছেন জীবন। খুব সম্ভবত চলতি মাসেই তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে চলেছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। নবান্নের আধিকারিকদের দাবি, রাজ্য সরকার চায় না সরকারি পদে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কোনও ব্যক্তি বসে থাকুক। তাই দেরিতে হলেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে সরানোর সিদ্ধান্ত মোটামুটি পাকা।