এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কামদুনিকাণ্ডে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কামদুনি মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য। চলতি সপ্তাহেই এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সম্ভাবনা। রাজ্য সরকার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে। পাশাপাশি কামদুনির ঘটনায় প্রতিবাদীরাও হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেছে। এই মামলাও ফাইল হয়ে গেলে চলতি সপ্তাহেই শুনানির সম্ভাবনা।

২০১৩ সালের কামদুনিকাণ্ড গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। গত শুক্রবার(৬ অক্টোবর) হাইকোর্টে এই কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সাজা ঘোষণা করা হয়। দুজনের ফাঁসির সাজা রদ করে হাইকোর্ট। ৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। দোষী আনসার আলি মোল্লা এবং সইফুল আলি মোল্লাকে ফাঁসির পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। বেকসুর খালাস পায় আমিন আলি,  ইমানুল হক,  ভোলানাথ নস্কর এবং আমিনুর ইসলাম।  

রায় শুনেই আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কামদুনির প্রতিবাদীরা। অসুস্থ হয়ে পড়লেন মৌসুমি কয়াল। ‘সুবিচার পেতে সুপ্রিম কোর্ট যাব’,জানায় নিহত নির্যাতিতার পরিবার।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে কামদুনিতে বাড়িতে ফিরছিলেন রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীটি। বাস থেকে নেমে হাঁটছিলেন। তাঁকে জোর করে রাস্তা থেকে পাঁচিল ঘেরা একটি ঘরে নিয়ে যায় ৯ জন দুষ্কৃতী। ফেরার পথে দফায় দফায় চলে গণধর্ষণ। এরপর তাঁকে ভেড়িতে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা।

পরিবার ও এলাকার লোকজন খোঁজখবর শুরু করে। গ্রাম থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ৮ বিঘে ভেড়ি অঞ্চলে একটি পাঁচিলের পাশে নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রাজ্য জুড়ে চলে আন্দোলন। ঘটনার তদন্তভার পায় সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় ৯জনকে।  প্রমাণের অভাবে দু’জন আগেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছিল। মামলা চলাকালীন আরও এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছিল।

২০১৬ সালে ৬ জন অভিযুক্তর সাজা ঘোষণা করেছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সইফুল আলি মোল্লা, আনসার আলি মোল্লা, আমিন আলি, ইমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলাম। সইফুল, আনসার ও আমিনকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। বাকি ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল।

হাইকোর্টে সাজা মকুবের জন্য দোষীরা আবেদন জানায়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা উঠেছিল। বিগত প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলে শুনানি। শুক্রবার সেই মামলায় রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। এবার এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হলে হাতা- খুন্তির লড়াই, হুঁশিয়ারি মমতার

মালদায় পুলিশি অভিযানে উদ্ধার ২৮ কোটির মাদক, ৩২ লাখ টাকা, গ্রেফতার ১

মহিলাদের অপমান করেছে বিজেপি, সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়ালেন অভিষেক

কনে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে গাড়ি উল্টে মৃত্যু দু’জনের,আহত অন্তত ২৮

বহরমপুরের কিছু বুথে পুনরায় ভোটের দাবি কংগ্রেসের

বাইরে থেকে ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন, জানালেন মমতা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর