এই মুহূর্তে




দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোনও শিথিলতা নয়, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Courtesy - Google and Twitter




নিজস্ব প্রতিনিধি: আশঙ্কা থাকলেও এই রাজ্যে(Bengal) ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র(Cyclone Dana) প্রভাবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোনও শিথিলতা রাখতে চাইছে না নবান্ন(Nabanna)। শুক্রবার দুপুরে রাজ্য প্রশাসনের এই মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। দুপুরে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক(Press Meet) থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে সংশ্লিষ্ট জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি। সেখানে বসেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। সামগ্রিক ভাবে গোটা রাজ্যের জন্যই প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাধিক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ ভাবে নজর দিতে বলেন উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিস্থিতির ওপরে।

আরও পড়ুন, Flat কেনার সময়ে ক্রেতাকে CC আর PC প্রদান বাধ্যতামূলক, প্রমোটারদের নির্দেশ WBREAT’র

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘দুর্যোগে বহু চাষের জমি নষ্ট হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কতটা, তা যাচাই করতে সমীক্ষা করানো হবে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন যাতে এখনই নিজেদের বাড়ি না ফেরেন, তা নিশ্চিত করতে বলছি সবকটি জেলা প্রশাসনকে। জমা জল থেকে যাতে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে না পড়ে সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। যেখানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে, সেখানে মশারি দিতে হবে। আবহাওয়া পরিস্থিতির সম্পূর্ণ উন্নতি না-হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ শিবিরগুলি চলবে। বিভিন্ন রোগের হানা রুখতে মেডিকেল ক্যাম্প চালাতে হবে। পর্যাপ্ত ত্রাণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে টেলি মেডিসিন কার্যকর করা যায় কি না, তা দেখতে বলেছি আধিকারিকদের। দুর্যোগে যাদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের বিষয়টি সরকার দেখবে। বিপর্যস্ত এলাকায় আরও দু’দিন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল আর রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল কর্মীদের মোতায়েন রাখতে বলেছি। কোথাও পলির কারণে জল জমে থাকলে, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’

আরও পড়ুন, উচ্চপ্রাথমিকে ১৪ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিরোধিতায় করা মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

এদিন মুখ্যমন্ত্রী আবারও ডিভিসিকেও তোপ দাগেন। বলেন, ‘ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলেই ডিভিসি জল ছাড়ছে। দুর্যোগের ক্ষেত্রে রাজ্যকে কেন্দ্র কোনও সাহায্য করে না। এক জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। সেটাও খুব দুর্ভাগ্যজনক। উনি বাড়িতে কেবল তার নিয়ে কাজ করছিলেন। ওনার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বলেছি। রাজ্যে কত কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং কোথায়, কত ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। কৃষকদের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। ২ বছরের মধ্যে কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনে পরিযায়ী শ্রমিক যারা ফিরে এসেছেন রাজ্যে তাঁদের কাজে লাগাতে হবে এই ধরনের প্রকল্পে।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভাঙরের কাশীপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরীর প্রতিবাদে কাজ বন্ধ করল গ্রামবাসীরা

মহেশতলা এসবিআই ব্যাংকের চুরির ঘটনায় গ্রেফতার ব্যাংকের প্রাক্তন কর্মী ও তার আত্মীয়

বাংলাদেশীদের সামাজিক বয়কটের ডাক হিন্দু মহাসভার

কৃষ্ণনগরে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের হাত ধরে শতাধিক কর্মীর তৃণমূলে যোগদান

সোমে বিধানসভায় শপথ নেবেন উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের ৬ বিধায়ক

হাতিয়াড়াতে প্রোমোটারের বাহিনীর হাতে আক্রান্ত জমির মালিক, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর