নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পর কেটে গিয়েছে টানা ৩ মাস। এখনও পর্যন্ত ভাঙড়কে আনা যায়নি লালবাজারের আওতায়। গত অগাস্ট মাসে ৯টি থানায় ভাগ করে ভাঙড়কে আলাদা ডিভিশন করার তোড়জোড় শুরু হয়। তবে তা ৩ মাস কেটে গেলেও সম্পন্ন হয়নি। তা ছাড়া ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ডও তৈরি করা হবে। ভাঙড়ে গোয়েন্দা বিভাগের একটি কার্যালয়ও তৈরির চিন্তাভাবনা রয়েছে লালবাজারের। তবে তা কবে সম্পন্ন হবে জানা যায়নি। পাশাপাশি ভাঙড় ডিভিশনের জন্যে একজন ডিসি-কে নিয়োগ করা হতে পারে। কোথায়, কী ভাবে পুলিশের অফিস গঠন করা হবে, তা নিয়েই তৎপরতা শুরু হয়েছিল ।তবে কবে শেষ হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভাঙ্গড়ে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরেই ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেখানকার নিরাপত্তা কঠোর করতে ভাঙড়কে ভেঙে ন’টি থানা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে লালবাজার। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। যা ঠেকাতে নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। আহত হন একাধিক পুলিশকর্মী। তাই ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবেই দেখছেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা।
ওই এলাকা যেমন সিসি ক্যামেরার নজরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে, তেমনই পুলিশকর্মীদের জন্য ‘বডি ক্যামেরা’র ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে ২২ অগাস্ট নবান্ন থেকে একটি পুলিশ গেজেট প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে , ভাঙড় ডিভিশন বলে আরেকটি ডিভিশন তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে ৮টি থানা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে সেই থানা তৈরির কাজ কনে শেষ হবে তা নিয়ে বর্তমানে বেশ সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, জানা গিয়েছে কাজ তৈরি শেষ হলেও আসেনি নির্দেশিকা। সেই নির্দেশিকা কবে আসবে তা নিয়ে প্রশাসনিক মহল থেকে সদুত্তর পাওয়া যায়নি।