নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি চাকরি(Government Service) দেওয়ার নামে ২৫ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার দায়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা(South 24 Pargana) থেকে গ্রেফতার করা হল ৩জনকে। এদের মধ্যে একজন আবার রাজ্যের এক বিধায়কের আপ্ত সাহায়ক। কিছুদিন আগেই এই প্রতারণার ঘটনায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন প্রতারিত হওয়া কিছু মানুষ। মনে করা হচ্ছে, সেই চিঠির জেরেই পুলিশি তদন্তে এবার ধরা পড়ল ৩ অভিযুক্ত। তবে এই ঘটনায় কারা কারা আরও জড়িত আছে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া ৩ জনের নাম প্রবীর কয়াল, শ্যামল কয়াল ও সুনীল মণ্ডল। রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখার(State Police Anti Corruption Department) তরফে এদের গ্রেফতার(Arrest) করা হয়েছে। শনিবারই ৩জনকে আদালতে পেশ করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়া প্রবীর কয়াল নদিয়া(Nadia) জেলার তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্তসহায়ক।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে কয়েকজন অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রবীর তাঁদের কাছ থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা আদায় করেছিল। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরেও সরকারি চাকরি মেলেনি। মোট ৩টি চিঠি পাঠানো হয়েছিল অভিষেকের কার্যালয়ে। তার মধ্যে ১টি চিঠি এসেছিল নদিয়া জেলারই অপর এক বিধানসভা কেন্দ্র পলাশিপাড়া থেকে। বাকি দু’টি চিঠি এসেছিল এই জেলারই তেহট্ট এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। মনে করা হচ্ছে সেই চিঠির জেরেই তদন্তে নামে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দেয় এই ৩জন। শেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘী থেকে এই ৩জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই ঘটনার জেরে তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা অবশ্য জানিয়েছেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। আমার সঙ্গে প্রবীরের কোনও সম্পর্ক নেই। ওকে অনেক আগেই আমি কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়েছি।’ জানা গিয়েছে বছর চল্লিশের প্রবীর ২০১৬ সাল থেকে বিধায়কের আপ্তসহায়ক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। কাউকে রেশনের ডিলারশিপ পাইয়ে দেওয়ার নামে, কাউকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নামে আবার কাউকে আবার পিএসসি’র মাধ্যমে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই ৩জনের বিরুদ্ধে।