নিজস্ব প্রতিনিধি: মা ছেলে-বৌকে ভালো চোখে দেখতেন না। আর তার জেরেই একসঙ্গে ৩জনের আত্মহত্যার(Suicide) ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিল বীরভূম(Birbhum) জেলার সিউড়ি(Suri) সদর মহকুমার পারুই(Parui) থানা এলাকায়। মৃত ৩জন হলেন মহুলা গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত পাত্র, তাঁর স্ত্রী তৃপ্তি পাত্র এবং তাঁদের ছেলে দীপ পাত্র। পারিবারিক অশান্তির কারণে তাঁরা এই মর্মান্তিক পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে তাঁরা সুইসাইড নোটে লিখে রেখে গেছেন। সেখানে ৭জনকে তাঁরা এই চরম পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অভিযুক্তও করেছেন। সেই সঙ্গে পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, পুলিশ(Police) যেন এদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়। পুলিশ ৩জনের দেহ সিউড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে করালেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। তবে ঘটনার তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
জানা গিয়েছে, পারুই থানার মহুলা গ্রামের প্রশান্ত পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তৃপ্তি পাত্রের। তাঁদের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই তাঁদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। মূলত প্রশান্তের মা এই বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের পরিবারের অনান্য সদস্যরাও এই বিয়ে মানতে চাননি। সোমবার রাতেই গ্রামবাসীরা দেখতে পান ৩জন বিষ খেয়ে ছটফট করছেন। তাঁদের পাশে পড়ে রয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানেই ৭ জনের নামে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রশান্তবাবু। তাঁরা যে এই ৭জনের জন্য বিষয় খেয়ে আত্মঘাতী হচ্ছেন সেই কথাও তাঁরা ওই সুইসাইড নোটে লিখে রেখে গিয়েছেন। গ্রামবাসীরা রাতেই ৩জনকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে রাতেই মারা যান তৃপ্তী ও দীপ। মঙ্গলবার ভোরে মারা যান প্রশান্তবাবু। পাত্র পরিবারের সদস্যরা এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তা ভাবতেই পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। পারুই থানার পুলিশ ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। সুইসাইড নোটে যে ৭ জনের নাম রয়েছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে আর অন্য কোনও কারণে অয়াছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।