নিজস্ব প্রতিনিধি: উন্নয়ন আর খড়গ হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নেই। কেননা সেই শিল্পের কারিগর এখন রয়েছেন তিহার জেলে(Tihar Jail)। তবে তাঁর সঙ্গীসাথীরা জেলাতেই রয়েছেন। কার্যত তাঁদের কাঁধে ভর দিয়েই লালমাটির জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Election) বৈতরণী পার হতে চায় জোড়াফুল শিবির। কিন্তু জেলারই কিছু কিছু জায়গায় এবার তাঁদের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, অন্তত সূত্র তেমনটাই বলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমের(Birbhum) মাটিতে এবার কিছুটা হলেও কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে তৃণমূল(TMC)। মূলত জেলায় দলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mondol) অনুপস্থিতিতেই সেই চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের সামনে খাড়া হতে চলেছে। জেলার একাধিক ব্লকে বিরোধীদের সেই সন্মিলিত চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে তৃণমূলকে।
আরও পড়ুন ন্যায্যমূল্যে গোবিন্দভোগ চালের বীজ চাষীদের দেবে রাজ্য
সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূম জেলার ১৯টি ব্লকের মধ্যে খুব কম করেও ১০টি ব্লকে বিরোধীদের জোট হতে চলেছে। সেই জোটে বাম(Left)-বিজেপি(BJP)-কংগ্রেস(INC) থাকছে। মুরারুইয়ের ২টি ব্লকে, নলহাটির ২টি ব্লকে, ময়ূরেশ্বরের ২টি ব্লকে, মহম্মদবাজার ব্লকে, খয়রাশোল ব্লকে, রাজনগর ব্লকে এবং নানুর ব্লকে এই বিরোধী জোট এবার কড়া লড়াইয়ের মুখে ফেলে দিতে পারে তৃণমূলকে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূম জেলায় কার্যত অধিকাংশ ব্লকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল তৃণমূল। এবারে কিন্তু সেই পরিস্থিতি থাকছে না। ভোটে লড়াই করার জন্য মনোনয়ন দাখিল করার সময়সীমা খুব কম থাকলেও এবার এই সব ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের বেশির ভাগ নির্বাচনেই বিরোধীরা লড়াইয়ের মাঠে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাবে। কার্যত তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজন করেই প্রার্থী তাঁরা দাঁড় করাতে চলেছে ওই নির্বাচনে। আর সেই জায়গাতেই কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে তৃণমূলকে।