নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামি ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ সময়সীমা ছিল শনিবার। রবি সকালে দেখা গেল ওই ১০৮টি পুরসভার মধ্যে ৬টিতে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেশির ভাগ আসনেই জিতে নিয়েছে। কার্যত ওই ৬ শহরের পুরবোর্ড ভোটের আগেই চলে এসেছে তৃণমূলের পকেটে। এই ৬টি মধ্যে ৩টি পুরসভা আবার অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুক বীরভূম জেলার। ওই ৩টি পুরসভা হল সিউড়ি, সাঁইথিয়া ও রামপুরহাট। বাকি ৩টি পুরসভা হল কোচবিহার জেলার দিনহাটা পুরসভা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার টাকি পুরসভা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বজবজ।
রবি সকালেই সামনে এসেছে টাকি পুরসভার ঘটনাটি। ইচ্ছামতীর তীরে বাংলাদেশের কান ঘেঁষে থাকা এই পুরসভায় ওয়ার্ড সংখ্যা ১৬। সেখানেই ৭টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। আরও ২টি ওয়ার্ডে এই ৩ দলের প্রার্থীরা লিফলেট বিলি করে ভোটের ময়দান থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। যার জেরে ৯টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল তৃণমূল। সেই হিসাবে ভোটের আগেই এই শহরের পুরবোর্ড চলে এলে তৃণমূলের দখলে। আবার গতকাল বিকালেই জানা গিয়েছিল, বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভাও তৃণমূলের দখলে আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ৫টি ওয়ার্ডের বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আরই ৬টি ওয়ার্ডের ওই ৩ দলের প্রার্থীরা লিফলেট বিলি করে ভোটের ময়দান থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বিরোধী দলগুলি এই ঘটনার পিছনে শাসক দলের সন্ত্রাসকে কারণ হিসাবে তুলে ধরলেও বাস্তব যে সম্পূর্ণ ভিন্ন সেটা মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের বয়ানেই সামনে চলে এসেছে। অন্তত টাকির ক্ষেত্রে। সেখানে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা জানিয়েছেন টাকিতে তৃণমূল ছাড়া আর অন্য কোনও দলের সংগঠন নেই৷ তাই তাঁরা পরাজয় অবশ্যম্ভাবী বুঝেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। টাকি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী সুজয় ঘোষের বক্তব্য, ‘সাংগঠনিকভাবে সিপিএম এখানে দুর্বল৷ সমর্থকরা বেরতে চাইছেন না৷ দিদির নেতৃত্বে টাকি পুরসভা আরও উন্নয়ন করুক৷ তাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলাম৷’ আবার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আমাদের এখানে সংগঠন খুবই দুর্বল৷ নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই৷’ আর এসবের মাঝেই তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর শাহানুর মণ্ডল বলেন, ‘ওরা মানুষের সমর্থন হারিয়ে ফেলেছে৷ জিততে পারবে না৷ তাই মনোনয়ন তুলে নিয়েছে৷’