নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চায়েতের ভোট পর্বে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন কয়েকজন। ওই ঘটনার পিছনে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাঙড়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে গ্রেফতার করল বিজয়গঞ্জ বাজার থানার পুলিশ। গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কায় রাজ্যের শাসকদলের অন্যতম দাপুটে নেতাকে তড়িঘড়ি লালবাজারে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে অশান্তির সময়ে মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ নেতা খুন হন। ওই খুনে নাম জড়ায় এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামের। তাঁর নামে গত বছরের ১৫ জুন কাশীপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। ওই খুনের মামলায় এদিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু খুন নয়, ধৃত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজিরও অভিযোগ রয়েছে। রাজারহাট নিউটাউনের ধানকল হাতিশালের মোড়ের কাছে ভগবানপুর বিনায়ক গ্রুপ নামে একটি সংস্থা নিজেদের জমির দখল নিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়। অভিযোগ, ওই সংস্থার কাছ থেকে পাঁচিল তোলার বিনিময়ে ৬০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন আরাবুল। কিন্তু তার পরেও পাঁচিল তুলতে পারছিল না সংস্থাটি। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোচরেও আসে। তাতেই তিনি ক্ষুব্ধ হন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নির্দেশ দেন।
আরাবুলের গ্রেফতারের পরে ভাঙড়ে যাতে নতুন করে অশান্তি না বাঁধে তার জন্য এলাকায় ইতিমধ্যে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পদস্থ আধিকারিকরাও এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছেন। আগামিকাল শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ককে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।