নিজস্ব প্রতিনিধি: কালীপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই জয়নগরে এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। সোমবার ভোরবেলা তিনি মসজিদে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে আক্রমণ করেন দুষ্কৃতীরা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার বামনগাছি গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন সইফুদ্দিন লস্কর। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ মসজিদে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলি তাঁর কাঁধে লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন সইফুদ্দিন। গুলির শব্দ শুনে লোকজন ছুটে আসে এবং তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
সইফুদ্দিনের মৃত্যুতে বামগাছি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। তিনি এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করেছেন। বিভাসবাবু বলেন, ‘‘নমাজ পড়তে গিয়ে যে সইফুদ্দিন এ ভাবে খুন হবে, আমরা ভাবিনি। ও এলাকায় জনপ্রিয় ছিল। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করত। গরিব মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছে। ওর কোনও শত্রু আছে বলে আমার জানা নেই। কারা কেন এই কাজ করল, জানি না। যারা করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।’’
মৃতের বাবা ইলিয়াস লস্কর জানিয়েছেন তাঁর কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। তবে তিনি সিপিএমের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার ছেলের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা নেই। কারও কোনও ক্ষতি করেনি অঞ্চল দখল করার জন্য। বিরোধীরা চক্রান্ত করে এটা করল। সিপিএম এর সঙ্গে জড়িত আছে।’’
বারুইপুর এলাকার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পূর্ণ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে বারুইপুর এলাকার পুলিশ।