নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার রাতে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের গ্যারগান্ডা চা বাগানে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল দুই যুবকের। মৃতদের একজনের নাম পাপ্পু থাপা, অন্যজনের নাম বাবু মাহালি। প্রথমজনের বাড়ি ওই চা বাগানের মন্দির লাইনে, দ্বিতীয় জনের বাড়ি বীরপাড়া থানার দলমোর চা বাগানে। অমর ওরাওঁ ও রিমেশ থাপা নামে আরও দুজন গুরুতর জখম হয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। ফলে ঘটনাটি নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে ওই চা বাগানে। ঘটনার জেরে পুলিশ রাতেই ওই চা বাগানে গিয়ে দুইজনের দেহ উদ্ধার করে দ্রুত তা হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। সেই সঙ্গে আহত ২জনকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করায় চিকিৎসার জন্য।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গ্যারগান্ডা চা বাগানে পাপ্পুর বাড়িতে সোমবার রাতে মদের আসরে যোগ দিতে এসেছিল বাবু, অমর ও রিমেশ। রাত ১০টা নাগাদ সেই বাড়িতেই চড়াও হয় ২০-২৫ জন দুষ্কৃতী। কার্যত ভাঙচুর, মারধর করার পাশাপাশি এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। তাতেই ঘটনাস্থলে মারা যায় পাপ্পু ও বাবু। বাকি দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। কিন্তু কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে আর কেনই বা তা চালানো হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে তাঁদের ধারনা পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুই যুবক অমর ওরাওঁ ও রিমেশ থাপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে।। পুলিশের ধারনা এদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এই ঘটনার কারণ খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। আপাতত নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। একই সঙ্গে এই ঘটনার পিছনে রাজনীতির কোনও যোগ আছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখতে চান তাঁরা। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানিয়েছেন, ‘গুলি চালানোর ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হচ্ছে নির্দিষ্ট নাম দিয়ে। কী কারণে এই শুটআউট এখনই কিছু আমরা বলব না, আগে আসামীদের গ্রেফতার করব। তারপরই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।’