নিজস্ব প্রতিনিধি: অ্যাম্বুলেন্সে কফিনে করে পাচার হচ্ছিল গাঁজা। গত মঙ্গলবার উদ্ধার হয়েছিল ৬৪ কেজি গাঁজা। এই কাণ্ডে এসটিএফের জালে ধরা পড়েছিল ১ মহিলা সহ ৪ জন। ধৃতরা সকলেই বিজেপি কর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে এমনটাই দাবি করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (UDYAN GUHA)।
ধৃতদের নাম সরস্বতী দাস, সমীর দাস, অপূর্ব দে এবং পাপ্পু মোদক। সকলের বাড়ি কোচবিহার জেলার দিনহাটাতে। অপূর্ব পেশায় গৃহশিক্ষক। যে অ্যাম্বুলেন্সে পাচার হচ্ছিল গাঁজা, সেই গাড়ির চালক ছিলেন সমীর। তাঁর সঙ্গেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (NISITH PRAMANIK) ছবি প্রকাশ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। ট্যুইটার এবং ফেসবুক থেকে এই ছবি আপলোড করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘স্যার মন খারাপ করবেন না, ব্যবসায় লাভ ক্ষতি আছেই। একবার ধরা পড়েছে গাঞ্জা। বারবার পড়বে না’।
বিজেপির দাবি, গেরুয়া শিবিরের কর্মী নন সমীর। কেউ সেলফি তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। যদিও ওই ছবি আদৌ সেলফি নয়। এই ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্মশিবির।
অন্যদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনায় ধৃত বেড়ে ১০। সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন জয় মাহাতো। তিনি বিজেপি কর্মী। কুড়মি আন্দোলনে বহিরাগত ঢুকে হামলা চালিয়েছে এই অভিযোগ ছিল বিক্ষোভকারীদের। তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সবুজ শিবিরের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কুড়মিরা নয়। হামলা চালিয়েছে বিজেপি। তারপরেই ধরা পড়লেন এক বিজেপি কর্মী। এতেও তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। অন্যদিকে, রাজেশ মাহাতো গ্রেফতার হয়েছিলেন আগেই। তিনি সহ ৯ জন জেল হেফাজতে আছেন। রাজেশ যুক্ত ডিএ আন্দোলনে। কুড়মিদের গাইডলাইন ছিল, তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনে সামিল হতে গেলে রাজনৈতিক দল ত্যাগ করতে হবে।