নিজস্ব প্রতিনিধি: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্য যুক্ত বিশ্বভারতীতে আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘরে উচ্ছেদের নোটিশ। বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের তরফে আগেই সিল করা হয়েছিল আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘর, এবার নোটিশ দিয়ে সেখান থেকে সমস্ত আসবাবপত্র বের করে দেওয়া হল কর্তৃপক্ষের তরফে। যদিও বিশ্বভারতীর উপাচার্য এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
চলতি বছরের শুরুতেই আলাপিনী মহিলা সমিতির ঘর সিল করে দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তখনই এই ঐতিহ্য শালী ঘরের উপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের খবরদারি চালানো নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আলাপিনী মহিলা সমিতির সদস্যরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেতে পারে নি তারা। এবার ১০ মাসের মাথাতেই একেবারে উচ্ছেদ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিশ্বভারতীতে। নোটিস দিয়ে আলাপিনী সমিতির সমস্ত আসবাব বাইরে বের করে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আলাপিনী মহিলা সমিতির সম্পাদক মণীষা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এত পুরনো ঐতিহ্যবাহী একটা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলেন উপাচার্য। আমাদের ঘর আগেই বন্ধ করে দেয়। এবার জিনিসপত্র বের করে দিল।’ শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা পড়ুয়াদের কল্যাণমূলক কাজের জন্য, ১৯১৬ সালে আলাপিনী মহিলা সমিতি তৈরি করেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। পরে বিশ্বভারতীতে সমিতির ঘরের ব্যবস্থা করেন তত্কালীন উপাচার্য ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী। আজ সেই ঘর বন্ধ করে দিয়ে বিশ্বভারতীতে অস্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন উপাচার্য।