এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আবারও বিক্ষোভ আন্দোলনে অচালাবস্থা বিশ্বভারতীতে

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘বিক্ষোভ আন্দোলন অচলাবস্থা এখন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের(Viswabharati University) স্বাভাবিক চিত্র হয়ে উঠছে। এর জন্য দায়ী অবশ্যই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী(VC Bidyut Chakrabarty)। যতদিন তিনি থাকবেন ততদিন বিশ্বভারতী স্বাভাবিক হবে না।’ সোম সকালে এমনতাই দাবি শান্তিনিকেতনের(Shantiniketan) আশ্রমিকদের থেকে শুরু করে বোলপুরের বাসিন্দাদের। নেপথ্যে ৭জন পড়ুয়া ও ১জন অধ্যাপকের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন বিক্ষোভ(Students Agitation)। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘন্টা বনধের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। সেই সঙ্গে তোলা হয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিও।

আরও পড়ুন বাংলার পথ ধরে কেন্দ্রের বাজেটে জোর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে

এদিন সকাল থেকে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবনে গিয়ে সাধারণ পড়ুয়াদের ক্লাস না করার আবেদন করে। সেই আবেদনে অনেকেই সাড়া দিয়েছে। সব ক’টি ভবন বন্ধ না হলেও, বেশ কয়েকটি ভবনে ইতিমধ্যেই পঠনপাঠনে দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে। কয়েকটি বিভাগে এদিন ইন্টারনাল পরীক্ষা ছিল। সাধারণ পড়ুয়াদের একাংশকে সেই পরীক্ষা বয়কট করতেও বলা হয় আন্দোলনকারীদের তরফে। তাতে সায় দেন বেশিরভাগ পড়ুয়ারাই। যারা সায় দেননি তাঁদের এই পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এদিনও বিক্ষোভকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অবিলম্বে নিঃস্বার্থ ভাবে ৭জন পড়ুয়া ও ১জন অধ্যাপকের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। সেই সঙ্গে যে ভাবে অধ্যাপকদের শোকজ করা হচ্ছে, তাও বন্ধ করতে হবে। পদত্যাগ করতে হবে উপাচার্যকেও।

আরও পড়ুন আবাস প্রকল্পে নয়া নিয়ম, মানতে হবে উপভোক্তা থেকে পঞ্চায়েতকেও

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ নভেম্বর বেশ কয়েকটি দাবিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কথা বলতে যান কিছু পড়ুয়া। কিন্তু সেদিন নিরাপত্তারক্ষীরা ঢুকতে বাধা দিলে পড়ুয়াদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতাহাতি বেধে যায়। এর পরেই পড়ুয়াদের হাতে ঘেরাও হন উপাচার্য। প্রায় ১০ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পর নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের সাহায্যে উপাচার্যকে মুক্ত করা হয়। সেই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যও। তিনি পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উস্কানি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলেন কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যকে বাংলোতে বন্দি রেখে পড়ুয়ারা আন্দোলন চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়। ওই ঘটনায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গত ডিসেম্বর মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অধ্যাপক সুদীপ্তকে বরখাস্ত ও ৭ জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার বিরুদ্ধেই সম্প্রতি আন্দোলনে নামেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২৩ নভেম্বরের ঘটনার জন্য আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে তাঁদের শাস্তি মকুব করে পুনরায় পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে এখনও নরম হওয়ার পথে যায়নি বিদ্যুতের প্রশাসন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘বুথের বাইরে কেন অশান্তি’, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ফোন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের

‘মানুষ আছে দিদির পাশে’, ভোট দিয়ে বেরিয়েই জানালেন নির্মল

তাজ্জব ঘটনা! দিব্যি বেঁচে, তবে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে শুনলেন তিনি মৃত

কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ, আধা সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সরাসরি : দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটদান গড়ে ৫০.৯৬ শতাংশ, শীর্ষে আলিপুরদুয়ার

প্রথম ২ ঘন্টাতেই কমিশনের কাছে ৩৭টি অভিযোগ তৃণমূলের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর