নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্ষার আকাশ, তবে নীল। দেখা যাচ্ছে সাদা সাদা মেঘ (CLOUD)। মাঝেমধ্যে তীব্র রোদ। বৃষ্টি (RAIN) হলেও তা বর্ষার মত নয়। জুলাইয়ের ১৭ তারিখেও নেই টানা ভারী বৃষ্টিপাত।
মহানগর সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সকালের দিকে এক পশলা বৃষ্টিপাত দেখা গিয়েছে। তবে তা ভারী বৃষ্টিপাত নয়। মৌসুমী বায়ু দক্ষিণবঙ্গে এখনও যথেষ্ট দুর্বল। তাই অপেক্ষা জুলাইয়ের পরবর্তী সময়ের দিকে।
আবহাওয়া দফতরের অনুমান, দেরি করে বর্ষা শুরু হলে তা চলতে পারে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্তও। যখন শরতের আকাশ নীল থাকার কথা। যখন ওই ‘নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা’র সময় তখন আকাশ ঢেকে যেতে পারে কালো মেঘে। বৃষ্টি হতে পারে ঝমঝমিয়ে। মানে মাসুল দিতে হবে পুজোয়! সেই আশঙ্কা মহানগরের ক্ষেত্রে একটু বেশি।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে ৩ শতাংশ বেশি। দক্ষিণবঙ্গে ঘাটতি ৪৫ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান গত ১ জুন থেকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে আগামী সোমবার থেকে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা। আর মঙ্গলবার থেকে তা হতে পারে ভারী। তবে দক্ষিণবঙ্গে সেই সম্ভাবনা নেই। মানে বর্ষা এলেও, তার প্রভাব নেই। হালকা বৃষ্টি হতে পারে কয়েক পশলা। ওড়িশা উপকূলে দেখা দিয়েছে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব। তার জেরে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হতে পারে সামান্য। এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে নিম্নচাপের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে অগাস্টে শক্তিশালী হতে পারে মৌসুমী বায়ু।
অক্টোবরের গোড়াতেই শারদোৎসব (PUJA)। আর দেরিতে বর্ষা এলে ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যেতে পারে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্তও।