এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সায়নীর হারের জেরে মমতার তোপের মুখে ঠিক কে, তীব্র জল্পনা তৃণমূলের অন্দরে

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: জঙ্গলমহল সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সফরে সরাসরি তিনি জঙ্গলমহলে পা রাখেননি। গতকাল অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে তিনি কলকাতা থেকে বিমানে চলে যান অন্ডাল বিমানবন্দরে। সেখান থেকে সড়ক পথে চলে যান দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে(Durgapur Circuit House)। রাতে সেখানেই দলের পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdwan) জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সারেন। আর সেই বৈঠকেই তিনি তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে টলি অভিনেত্রী তথা অধুনা যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের(Sayani Ghosh) হারের জন্য। সূত্রের দাবি বৈঠকে তিনি রীতিমত তোপ দেগেছেন এই ঘটনার জন্য জেলা তৃণমূল(TMC) নেতৃত্বকে। আর সেখানেই প্রশ্ন উঠেছে মমতার তোপে মুখে ঠিক কে? রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক(Moloy Ghatak) নাকি অন্য কেউ? ঘটনা এটাই যে ২৪’র ভোটে(General Election 2024) আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের জন্য মমতা বাড়তি নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে। মলয়কে নয়।

তৃণমূলের জন্মের পর থেকে রাজ্যের যে সব লোকসভা কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে জোড়াফুলের কব্জায় আসেনি, তার মধ্যে ছিল আসানসোল। এমনকি রাজ্যে পালা বদলের পরেও প্রায় এক দশক সেই ছবি বদলায়নি। বার বার অভিযোগ উঠেছে, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হারের নেপথ্যে রয়েছেন মলয় ঘটক। তাঁর পছন্দ মতন প্রার্থী না হওয়ার জন্যই নাকি তিনি ও তাঁর অনুগতরা সেই নির্বাচনে দলের প্রার্থীকে লিড তুলে দেননি। যদিও এই অভিযোগ প্রকাশ্যে কোনওদিন সামনে আসেনি। মলয় নিজেও এই নিয়ে কোনওদিন দল বিরোধী কোনও মন্তব্য বা কার্যকলাপ করেননি। দলের আদি নেতাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। বাম জমানায় লাল পার্টির নেতাদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে মমতার পাশে লড়াই করার নেতা তিনি। আজ পর্যন্ত কোনওদিন দলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি। অথচ তাঁর উপস্থিতিতেই কাল মমতা এমন কিছু কথা বলেছেন বলে সূত্রের দাবি, যা মলয় ভিন্ন আর কাউকেই ইঙ্গিত করে না।

জানা গিয়েছে গতকাল রাতে দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে যে বৈঠক হয়েছে সেখানে মমতা একুশের ভোটে আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের সায়নীর হার নিয়ে নিজের তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি নাকি জানিয়েছেন, সায়নী ঘোষ হারেননি। তাঁকে দলের জেলা নেতারা হারিয়ে দিয়েছেন। সব খবর তাঁর কাছে থাকে। কেউ কেউ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েকটি আসন বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হবে যাতে ইডি-সিবিআই যেন তাঁকে কোনও ভাবে বিরক্ত না করে। এই ধরনের চিন্তাভাবনা যিনি করছেন তিনি ঠিক করছেন না। দলে থেকে যদি কেউ দলের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেন, তা হলে তাঁকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। ঘটনা হচ্ছে গতকাল রাতের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মলয় ঘটক, প্রদীপ মজুমদার, দলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়-সহ জেলা নেতৃত্ব। আর এদের ভিন্ন মলয় ছাড়া আর কারোর পিছনেই পড়ে নেই ইডি-সিবিআই। আর তাতেই উঠেছে প্রশ্ন, মমতার তোপের মুখে কে!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

এবার দু ‘লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব নির্বাচনে : কাকলি ঘোষ দস্তিদার

‘সিপিএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি, কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি’, দাবি মমতার

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর