এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ফলকে নেই কেন রবীন্দ্রনাথের নাম, বিশ্বভারতীর কাছ থেকে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর আগেই UNESCO’র তরফে World Heritage Site’র তকমা দেওয়া হয়েছে শান্তিনিকেতনকে(Shantiniketan)। সেই তকমাপ্রাপ্তির পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়(Viswabharati University) কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণ মিলিয়ে মোট ৩টি ফলক বসায় যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) ও উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর(Bidyut Chakrabarty) নাম ছিল। অথচ কোথাও শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতীর প্রাণপুরুষ  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের(Rabindranath Tagore) নাম ছিল না। তা নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার সেই ফলক সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতীকে। তাই ফলক বিতর্ক এবার ধামাচাপা পড়তে চলেছে। অথচ এই সময়েই আবার রাজ্যপাল(Governor of West Bengal) সি ভি আনন্দ বোস(C V Anand Bose) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৈফিয়ত চাইলেন ফলকে কেন নাম নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের! 

জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ‌্যপাল যে কেন বিশ্বঐতিহ্যের ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই। পদাধিকারবলে বাংলার রাজ‌্যপাল বিশ্বভারতীর রেক্টর। তাই তিনি যে কোনও বিষয়ে বিশ্বভারতীর কাছে রিপোর্ট চাইতেই পারেন। সেটায় কোনও অস্বাভাবিক কিছু নেই। কিন্তু বিতর্ক যখন তুঙ্গে উঠেছিল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে যখন সেই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন, বঙ্গ বিজেপির নেতারাও মুখ খুলেছিলেন, তখন রাজ্যপাল মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন। তখন তাঁর রিপোর্ট চাওয়ার কথা মনে হয়নি।

অথচ বিতর্ক যখন ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে, যখন তা অবসানের মুখ দেখছে তখন নতুন করে তা চাগিয়ে দিচ্ছেন বাংলার রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, ফলক বিতর্কের মাথা ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, যিনি এখন প্রাক্তন উপাচার্য। সেই বিতর্কের সঙ্গে বিন্দুমাত্র যুক্ত ছিলেন না বিশ্বভারতীর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। অথচ রাজ্যপাল বিদ্যুতের কাছ থেকে রিপোর্ট না চেয়ে তা চেয়ে পাঠিয়েছেন সঞ্জয়কুমার মল্লিকের কাছ থেকে। বিদ্যুৎকে তিনি ছাড় দিয়েছেন।

স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যপালের এহেন রিপোর্ট তলবকে ঘিরে এখন নয়া সন্দেহ উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করে দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যপালকে এখন নতুন করে মাঠে নামিয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর সেটা সঞ্জয়কুমার মল্লিককে চাপে রাখার জন্যই। কেননা একে তো বিদ্যুৎ এখনও বিশ্বভারতীর বাংলো ছাড়েননি, তারওপর তিনি তলায় তলায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফের বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদ ফিরে পেতে। বিজেপি ও কেন্দ্র সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের মাধ্যমে বিশ্বভারতীতে গৈরিকরণ অভিযান চালিয়ে যাওয়ার। এখন বিদ্যুতের বিকল্প চট করে খুঁজে পাওয়া তাঁদের কাছে মুশকিল।

এদিকে সঞ্জয়কুমার মল্লিক বিশ্বভারতীর দায়িত্ব নিয়েই ইঙ্গিত দিয়ে বেশ বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি বিশ্বভারতীতে গৈরিকরণ অভিযান মুখ বুজে মেনে নেবেন না। পৌষমেলা ও বসন্ত উৎসবও ফেরাতে চান তিনি। এহেন ব্যক্তিকে বিশ্বভারতীর মাথায় বসিয়ে রাখলে যে গৈরিকরণ অভিযান ধাক্কা খাবে সেটা বুঝে গিয়েছে পদ্মশিবির। আর তার জেরেই এবার তাঁকে সরানোর জন্য ঘুরপথে খেলা শুরু করে দিল কেন্দ্র সরকার। লক্ষ্যণীয় ভাবে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে দ্রুত বিশ্বভারতীর জন্য পূর্ণ সময়ের উপাচার্য নিয়োগের সুপারিশ করেছেন। আর তার পরে পরেই রাজ্যপাল চেগে উঠেছে ফলক বিতর্ক নিয়ে। চেয়ে পাঠিয়েছেন রিপোর্ট।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

প্রচারে বেরিয়ে হিট স্ট্রোক, প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের  তৃণমূল নেতা

ভোটগ্রহণের মাঝে কেন সন্দেশখালিতে সিবিআই অভিযান, কমিশনকে নালিশ তৃণমূলের

হাওড়ার ডুমুরজলায় হচ্ছে না মোদির সভা, বড় ধাক্কা রথীনের

দ্বিতীয় দফার জনমতও অনুকূলে থাকবে, দাবি তৃণমূলের, চাপে বিজেপি

নদিয়ায় জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনাই মৃত্যু হল এক যুবকের, শোকের ছায়া পরিবারে

অনলাইন প্রতারণা চক্রের ৬ ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করল শান্তিপুর থানা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর