নিজস্ব প্রতিনিধি : শাহজাহানকে হাতে পেয়ে বুধবার রাতেই তড়িঘড়ি সন্দেশখালি পৌঁছে গেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে রাতেই সিবিআইয়ের যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে শেখ শাহজাহানকে জেরা করার জন্য ২৫০ পাতার একটি প্রশ্নমালা সাজিয়েছে সিবিআই। ইডি অফিসারদের ওপর হামলা থেকে শুরু করে ভেড়ির ব্যবসা, সবকিছুই উঠে এসেছে এই প্রশ্নমালায়।
বুধবার রাতে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা সন্দেশখালিতে গিয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে। পুলিশের কাছ থেকে তাদের করা অভিযোগ সংক্রান্ত নথিও সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। তবে এই কাজ করতে কেন বুধবার রাতেই সিবিআইয়ের দলকে যেতে হল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একটা হয়েছিল ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে ও অন্যটি পুলিশের স্বতঃপ্রনোদিতভাবে দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে। তবে বুধবার রাতেই সন্দেশখালিতে যাওয়া নিয়ে বিশেষ কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সিবিআইয়ের দল কোনও জায়গায় গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে যায়।
এদিকে এদিন সকাল থেকেই শাহজাহানকে জেরা করা শুরু করে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। শাহজাহানকে প্রশ্ন করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রশ্ন সাজিয়েছে কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে খবর, এই সব প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে গত ৫ জানুয়ারি কেন ইডি অফিসাররা তল্লাশি চালাতে পারল না। পাশাপাশি শাহজাহানই কি ইডি আধিকারিকদের ঘেরাও করতে বলেছিলেন। কার কথাই বা লোক জড়ো করতে বলা হল। ইডি চলে যাওয়ার পর শাহজাহান কোথায় চলে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি আধিকারিকরা। সেইসময়ই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তদন্তকারী আধিকারিকদের। গ্রামবাসীরা লাঠি, ইট, পাথর নিয়ে চড়াও হয় ইডি আধিকারিকদের ওপর। এই ঘটনায় তিন জন ইডি আধিকারিক জখম হয়েছিলেন।