নিজস্ব প্রতিনিধি: গত অর্থবর্ষে কোচবিহার(Caochbehar) জেলায় ৮০০ কোটি টাকার ঋণ(Loan) দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছিল জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতর(Rural Development Department)। কিন্তু অর্থবর্ষের শেষে দেখা যায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৯২৫ কোটি টাকার ঋণ প্রদান করা জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে(Self Help Groups)। এরপরেই এবার এই খাতে ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা আরও বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক ঠিক হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে কোচবিহার জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ১০০৬ কোটি টাকার ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হবে। মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে এই ঋণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে কোচবিহার জেলায় নতুন করে আরও দেড় হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় হাইকোর্টের SIT’র বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রাজ্য
কোচবিহার জেলায় এখন মোট ৫৫ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। আরও দেড় হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন হলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। এই বিপুল পরিমাণ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা এই সব কাজের জন্য ঋণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে সেই ঋণ শোধ করেন। এর ফলে মহিলারা অনেকটাই স্বনির্ভর হচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলায় গত দুই বছরে নতুন করে মোট প্রায় ৬ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় মোট ৫৫ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সেই হিসেবে মোট প্রায় সাড়ে পাঁচ-ছয় লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আগামী দিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়লে এর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন স্বাস্থ্যসাথীতে জালিয়াতি রুখতে বড় পদক্ষেপ নবান্নের
মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এই গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দেওয়া হয়। এই ঋণের টাকায় তাঁরা ছোটখাট ব্যবসা, হাতের কাজ, বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা, পশুপালন সহ একাধিক কাজ করেন। আট-দশ জনের ছোট ছোট দল গঠন করে তাঁরা নিজেরাই এই সব কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন। এর মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করার পাশাপাশি ব্যাঙ্কের ঋণও পরিশোধ করেন। দেশের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বাংলার মহিলার সব থেকে বেশি ঋণ পাচ্ছেন তাঁদের কর্মদক্ষতার জন্য এবং সঠিক সময়ের মধ্যে সেই ঋণ পরিশোদ করার জন্যও। সেই উন্নয়নের শরিক হয়েছেন কোচবিহার জেলার মহিলারাও।