নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মাগ্গিগণ্ডার বাজারে সামান্য হলেই সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা সুখবর মিলল। জুলাই মাসে দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম (Food Price) খানিকটা কমায় খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি (Retail inflation) জুন মাসের তুলনায় সামান্য কমেছে। জুন মাসে যেখানে খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি ছিল সাত দশমিক ০৪ শতাংশে, তা গত মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশে। মার্চ মাসের পরে খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে কম। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্কিং সংস্থা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India) পরপর দুবার রেপো রেট বাড়ানোর কারণেই খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি নিম্নমুখী।
শুক্রবার জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের (National Statistical Office) পক্ষ থেকে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, জুন মাসে যেখানে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ, তা জুলাই মাসে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশে। চাল-ডাল সহ ভোজ্য তেলের দাম অনেকটাই কমেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমলেও অবশ্য এখনও যথেষ্টই আকাশছোঁয়া। গত এপ্রিল থেকেই দেশে খুচরোর মুদ্রাস্ফীতির পারদ চড়ছিল। এপ্রিলে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছিল ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অথচ মার্চ মাসে এই মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। মে মাসে মুদ্রাস্ফীতি দাঁড়িয়েছিল সাত দশমিক ০৪ শতাংশে। গত বছরের মে মাসে এই খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
খুচরোর মুদ্রাস্ফীতি রুখতে গত মে ও জুন মাসে রেপো রেট বাড়িয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাতে কিছুটা সুরাহা হলেও মুদ্রাস্ফীতি এই মুহুর্তেই নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মনে করছেন না আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ডলারের তুলনায় দেশে টাকার দাম কমেছে। বর্তমানে আন্তুর্জাতিক বাজারে এক ডলারের তুলনায় টাকার দাম প্রায় ৭৯ টাকা ৬৬ পয়সা। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে অস্থিরতা রয়েছে। সেই অস্থিরতা না কমলে