নিজস্ব প্রতিনিধি: মঙ্গলবার রাতে শান্তিনিকেতনে পৌঁছে গিয়েছিল ইডির (ED) একটি দল। তারপর বুধবার সকালে ফের ইডির একটি দল হানা দিয়েছে। সূত্রের খবর, বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ৬ টি গাড়ি বেরিয়েছে। ইডির বিভিন্ন দল হানা দেবে একাধিক জেলায়। তল্লাশি চালানো হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (PARTHA CHATTERJEE), অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (ARPITA MUKHERJEE) যোগ রয়েছে এমন বাড়িতে। নজরে অনুব্রত মণ্ডল (ANUBRATA MONDAL) ঘনিষ্ঠও।
জানা গিয়েছে, হানা দেওয়া হতে পারে উত্তর চব্বিশ পরগনা ও বীরভূম সহ একাধিক জেলায়। খবর, শান্তিনিকেতনের ‘অপা’ বাড়িতেও তল্লাশি চালাতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির প্রতিনিধি দলগুলির সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। অন্যদিকে, বুধবার সকালেই ইডি গিয়েছে বীরভূমের এক পাথর ব্যবসায়ীর বাড়িতে। ওই ব্যবসায়ীর নাম টুলু মণ্ডল। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার মাদুরদহের ‘ওম ভিলা’ এবং পণ্ডিতিয়া রোডের ‘ফোর্ট ওয়েসিস’ আবাসনে হানা দেয় ইডি। হানা দেওয়া হয় পাটুলির নেল আর্ট পার্লারেও। ওই পার্লার অর্পিতার। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার শেষ খুলেছিল ওই পার্লার। তারপর থেকে বন্ধ ছিল। পার্লার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি হার্ড ডিস্ক। সংগ্রহ করা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। ওই দিন মোট ৬ টি এলাকায় হানা দিয়েছিল ইডি। তবে পণ্ডিতিয়া রোডের ওই আবাসনের ফ্ল্যাটের দরজা বহু চেষ্টাতেও খুলতে পারেনি ইডি। সকাল থেকে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও দরজা খুলতে না পেরে ওই ফ্ল্যাটটি সিল করে দেন ইডি আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, ওই ফ্ল্যাটের মালিক স্মিতা ঝুনঝুনওয়ালা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে নথিভুক্ত নেই এই ফ্ল্যাট। তাই ভাঙা হয়নি ওই ফ্ল্যাটের দরজা। ইডি সূত্রে খবর, অনেক চেষ্টা করেও ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পাওয়া যায়নি স্মিতাকে। তাই সিল করা হয়েছে। এই বিষয়ে জানানো হয়েছে, স্থানীয় থানাকেও জানিয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ৬ নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাট ব্যবহার করতেন অর্পিতা।