নিজস্ব প্রতিনিধি: এলন মাস্কের (ELON MUSK) টুইটার দখলের পর থেকেই হলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর টুইটার (TWITTER) অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। যেমন দিন কয়েক আগেই টুইটার অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ হয়েছে হলিউড অভিনেত্রী তথা জনি ডেপের প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার্ড হার্ডের। যদিও অনেকের ধারণা অ্যাম্বার্ড নিজেই টুইটার প্লাটফর্ম থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
আবার অনেকের ধারণা ইলন মাস্ক যেহেতু অ্যাম্বার্ডের প্রাক্তন প্রেমিক ছিলেন তাই টুইটারের মালিকত্ব পাওয়ার পর তিনিই হয়তো অ্যাম্বার্ডের টুইটার মাধ্যম স্থগিত করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, গতকাল অর্থাৎ রবিবার আমেরিকান কৌতুক অভিনেত্রী ক্যাথি গ্রিফিনেরও (Kathy Griffin) টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও নেপথ্যে এলন মাস্কের উপর অভিযোগ করেছেন তিনি। কারণ সম্প্রতি গ্রিফিন তাঁর টুইটার ডিসপ্লে নাম পরিবর্তন করার পরেই ৬২ বছর বয়সী গ্রিফিনকে তাৎক্ষণিকভাবে টুইটার প্ল্যাটফর্ম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা জনসন টুইট করলে পাল্টা উত্তরে টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক জানান, “আসলে, কৌতুক অভিনেতা গ্রিফিন নিজের নাম পরিবর্তন করে ছদ্মবেশ ধারণ করার জন্যই তাঁকে টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তিনি যদি তাঁর অ্যাকাউন্টটি আবার ফেরত চান, তবে তিনি এটি পেতে পারেন”।
যদিও এলন মাস্ক ঘোষণা করেছেন যে ‘কমেডি এখন টুইটারে বৈধ’। কিন্তু এই ঘোষণার মাত্র এক সপ্তাহ পর গ্রিফিনের বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা কেন জারি করলেন এলন? এলনের কথায়, “বাকস্বাধীনতার জায়গা” প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও, “ছদ্মবেশী” নামে কেউ তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট চালালে তা আর সহ্য করা হবে না। ৬ নভেম্বর থেকে এই নিয়ম লাঘু হয়েছে। একটি নতুন নীতি ঘোষণা করে এলন জানিয়েছেন যে, টুইটারে কোনও ধরণের “ছদ্মবেশী” অ্যাকাউন্টকে বৈধ স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। সেইরকম দেখতে পেলে অবিলম্বে তা স্থগিত করা হবে। মাস্ক আরও একটি টুইটে বলেছেন, “আগে, আমরা স্থগিতাদেশের আগে একটি সতর্কতা জারি করেছিলাম, কিন্তু এখন আমরা ব্যাপক যাচাইকরণের কাজ করছি, যেখানে কোন সতর্কতা থাকবে না।” তবে ক্যাথি গ্রিফিন ছাড়াও, আরেকজন বিশিষ্ট টুইটার ব্যবহারকারী, ভ্যালেরি বার্টিনেলিও তাঁর ডিসপ্লে নাম পরিবর্তন করে বিপাকে পড়েছিলেন, কিন্তু তিন তাঁর ফের আসল নামে ফিরে আসেন।