নিজস্ব প্রতিনিধি: দুর্নীতির জাল কতদূর ছড়ানো সেটা ভেবেই অবাক হয়ে যাচ্ছেন সিবিআই(CBI) আধিকারিকেরা। যত দেখছেন ততই অবাক হচ্ছেন। যত ঘাঁটছেন ততই নতুন নতুন তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন। লটারির(Lottery) পর লটারির পুরষ্কার কেষ্ট কন্যার নামে। লাখ লাখ টাকা ঢুকেছে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের(Sukanya Mondol) অ্যাকাউন্টে। এবার সামনে এল পঞ্চম লটারির কিসসা। সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, সুকন্যার নামে ৫০ লক্ষ টাকার একটি নতুন লটারির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কেষ্ট থুড়ি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondol) আর তাঁর মেয়ে সুকন্যার নামে আগেই ৪টি লটারির হদিস পাওয়া গিয়েছিল। এবার সামনে এল পঞ্চম লটারির গপ্পো।
আরও পড়ুন ট্যাব নিয়ে বিপাকে পড়ুয়ারা, রাজ্য চাইছে সার্টিফিকেট
বছর ৩ আগে কেষ্ট ১০ লক্ষ টকা জিতেছিলেন লটারিতে। পরে জানা যায় তিনি নাকি লটারিতে ১ কোটি টাকাও জিতেছেন। যদিও কেষ্ট নিজে তা স্বীকার করেননি। তাঁর কন্যা সুকন্যার নামেও লটারির টাকা ঢুকেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি লটারির থেকে ৫০ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন সুকন্যা। সেই লটারি বাবদ সুকন্যার অ্যাকাউন্টে দু’দফায় ২৫ লক্ষ ও ২৬ লক্ষ টাকা মিলিয়ে মোট ৫১ লক্ষ টাকা এসেছে। এখন সিবিআই যে পঞ্চম লটারির সন্ধান পেয়েছে তার দৌলতে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে আরও ৫০ লক্ষ টাকা। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন, বার বার একই পরিবারের সদস্যরা কেন লটারি পাচ্ছেন? তাহলে কী লটারির ব্যবসা আদতে তাঁদের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রীত হচ্ছে? নাকি গোটা ব্যবসাটি তাঁরা নিজেরাই বেনামে চালাচ্ছেন? ঘটনার জেরে এখন অনেকেই দাবি করেছেন, রাজ্যে সব বেসরকারি সংস্থার লটারি বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হোক অবিলম্বে। অন্যদিকে সিবিআই আধিকারিকদের ধারনা, গরু ও কয়লা পাচার নিয়ে তদন্ত শুরু হওয়ায় কালো টাকা দ্রুত সাদা করার তাগিদ থেকেই সম্ভবত লটারিকে আঁকড়ে ধরেছিলেন কেষ্ট।
আরও পড়ুন এখনই নদিয়া জেলা ভাগ হচ্ছে না, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
কেষ্ট’র লটারি প্রাপ্তির ঘটনার তদন্তে নেমে বোলপুরের(Bolpur) ‘রাহুল লটারি’ নামে একটি লটারির দোকানে হানা দিয়েছিল সিবিআই। এমনকি, ওই দোকান মালিক শেখ আইনুল-সহ আরও দু’জন লটারি ব্যবসায়ীকে শান্তিনিকেতনের রতনকুঠিতে এবং সিবিআই অস্থায়ী ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পাশাপাশি, এ নিয়ে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়েও অনুব্রতকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, লটারি নিয়ে খুব শীঘ্রই সুকন্যাকে জেরা করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকেরা।