নিজস্ব প্রতিনিধি: কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের থাবায় জীবনটাই চলে যাচ্ছিল সুন্দরবনের বাসিন্দা শঙ্কর শি’র। কোনওরকমে স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বাঁচেন শঙ্কর বাবু। প্রাণে বাঁচলেও বাঘের থাবাতে গুরুতর জখম হন তিনি। স্থানীয় হাসপাতালে দেখালে তারা চিকিৎসার জন্য পিয়ারলেসে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে এসে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে গেলে প্রথমে আউটডোরে অসুস্থ শঙ্কর বাবুকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে দু’বার ড্রেসিং করতে ১৭ হাজার টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অস্ত্রোপচার করতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শঙ্কর বাবুকে জানানো হয়, কাঁধের চোট সারাতে অস্ত্রোপচারও করতে বলা হয় তাঁকে। এর জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়। তখনই সেখান থেকে চলে আসেন তারা। তারপরেই স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে শঙ্কর বাবুর পরিবারের লোকজন।
যার ভিত্তিতে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। রাজ্য সরকারের তরফে বারবার বলা হয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করতেই হবে, গ্রহণ করতেই হবে। কিন্তু কিছু জায়গায় এখনও সেই কথা মানা হচ্ছে না। তাই পিয়ারলেস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, শঙ্কৎ শি’কে সুস্থ করার পুরো দায়িত্ব নিতে হবে পিয়ারলেস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই। যদিও এক আত্মীয়ের সহযোগিতায় টাকার বিনিময়ে কাঁধের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে শঙ্কর বাবুর, এই কথা জানিয়েছেন তিনি।
তবে ঠিকঠাক অপারেশন হয় নি বলেই জানিয়েছে শঙ্কর বাবুর পরিবার। আর সেই কারণেই তাঁর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে পিয়ারলেসকেই। যদিও পিয়ারলেস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পরিবারের দাবি ভিত্তিহীন।