নিজস্ব প্রতিনিধি: ধনদেবীর পুজো হয়ে গিয়েছে গত বছরের অক্টোবর মাসে। সেই পুজো বাঙালিদের। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। বাঙালিদের কালীপুজোর সময়ে হয়ে গিয়েছে অবাঙালিদের লক্ষ্মী-গণেশ পুজোও। তবে নতুন বছরের শুরুতেই কেন লক্ষ্মীপুজো (LAKKHI)? লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (LAKSHMIR BHANDAR) টাকায় কেন এই পুজো? ব্যাপারটা কী?
এই লক্ষ্মীপুজো (LAXMI) কোজাগরী নয়। বাঙালিরা পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে এই পুজো করে। তা বাঙালি ধর্ম এবং সংস্কৃতির ঐতিহ্য। দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়, ঘরে তোলা নতুন ফসলের। রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার রাইন্দা গ্রামেও এই সময়ে হয় লক্ষ্মীপুজো। এতদিন এই পুজোর আয়োজন করতেন গ্রামের পুরুষরাই। এবারে আয়োজনের দায়িত্বে মহিলারা। নিজেই গুরুভার নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। গঠিত হয়েছে মহিলা কমিটি।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপ্ত টাকা থেকেই আরাধনা করা হচ্ছে লক্ষ্মীদেবীর। এই পুজো করার জন্য প্রতি মাসে টাকা জমিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, এই পুজো প্রায় ৬০ বছরের প্রাচীন। তবে এই প্রথম দায়িত্ব নিয়েছেন মহিলারা। তাঁদের আবেদন, পরবর্তীকালে যেন প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যায়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প। তাঁর ড্রিম প্রোজেক্ট ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে। এই প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণিভুক্ত মহিলারা পান মাসে ৫০০ টাকা করে। আর তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা প্রতি মাসে পান ১০০০ টাকা করে।