নিজস্ব প্রতিনিধি: গতবছর ১১ ডিসেম্বর বাংলায় নেওয়া হয়েছিল প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা বা ‘টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট’(TET)। প্রাথমিক শিক্ষকতার ক্ষেত্রে চাকরি পেতে হলে এই পরীক্ষায় পাশ করতেই হবে। ওই পরীক্ষায় প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এখন তাঁরাই অধীর আগ্রহে বসে আছে কবে সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে। আর সেই ক্ষেত্রেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ(Primary Education Board) সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই প্রকাশিত হতে পারে প্রাথমিক টেটের ফল। কেননা গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে টেট-এর আদর্শ উত্তরমালা বা ‘মডেল আনসার কি’(Model Answer Key) নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানোর সময়সীমা। জমা পড়া অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে এবার নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। দ্রুত সেই পর্ব মিটিয়ে পরের মাসের শুরুতেই ফলপ্রকাশ করতে চাইছে পর্ষদ।
আরও পড়ুন স্বল্প সঞ্চয়ে স্বল্প মেয়াদী প্রকল্প আনছেন মোদি
উল্লেখ্য এবারের পরীক্ষার আগে পর্ষদের তরফে পরীক্ষা স্বচ্ছভাবে আয়োজনের জন্য একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছিল পর্ষদ। পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের পাশাপাশি ওএমআর শিটের একটি প্রতিলিপিও দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে চলতি মাসেই প্রকাশ করা হয়েছে পরীক্ষা সংক্রান্ত আদর্শ উত্তরমালা। নিজের ওএমআর শিটের(OMR Sheet) সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখে টেট-এ প্রাপ্য নম্বর সম্পর্কে যাতে স্বচ্ছ ধারণা করে নিতে পারেন পরীক্ষার্থীরা, তার জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছিল পর্ষদ। শুধু তাই নয়, উত্তর নিয়ে কোনও আপত্তি থাকলে সেটি জানানোর সুযোগও দেওয়া হয়েছিল প্রার্থীদের। তার জেরেই পলিথিন ব্যাগের ঘনত্ব সম্পর্কিত প্রশ্ন সহ বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি এসেছে। তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছে পর্ষদ। যদি দেখা যায়, চ্যালেঞ্জকারী প্রার্থীদের দাবি সঠিক, তাহলে ওই প্রশ্নের উত্তর যাঁরা দিয়েছেন তাঁদের সবাইকেই পুরো নম্বর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন বারে বারে টিম পাঠিয়ে কি হবে ,আগে টাকা দিক : ফিরহাদ
প্রসঙ্গত, টেট-এর প্রশ্ন এবং উত্তর ভুল মামলার পরে প্রচুর সংখ্যক প্রার্থীকে চাকরি দিতে হয়েছে পর্ষদকে। এমনকী, স্কুল সার্ভিস কমিশনও(SSC) প্রশ্ন ভুল মামলায় বহু প্রার্থীকে চাকরি দিয়েছিল। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের সমস্যা না হয় তার জন্য সাবধানী পদক্ষেপ করতে চাইছে। তাই অতিরিক্ত সময় লাগছে বলে দাবি এক সূত্রের। তবে এত কিছুর পরেও সব থেকে বড় প্রশ্ন যেটা থাকছে সেটা হল যোগ্য চাকুরীপ্রার্থীরা এবারে চাকরী পাবেন তো? নাকি তাঁদের জায়গায় অন্য কেউ ঘুরপথে সেই চাকরি বাগিয়ে বসে থাকবে? কার্যত এই প্রশ্নে এখন অগ্নিপরীক্ষার মুখে পর্ষদের পাশাপাশি রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলও। আগামী দিনই বলবে এবারের পরীক্ষায় স্বচ্ছতা কতটা বজায় থাকছে।