এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্বল্প সঞ্চয়ে স্বল্প মেয়াদী প্রকল্প আনছেন মোদি

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৪ থেকে যে দমনপীড়ন শুরু হয়েছিল তা যে আখেরে সরকার আর দলের প্রতি মানুষকে বিমুখ করে তুলেছে সেটা দেরীতে হলেও বুঝতে পেরেছেন গেরুয়া শিবিরের কর্তারা। নোটবন্দী, লকডাউন, মানষের হাতে সরাসরি নগদ পৌঁছে না দেওয়া, পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দাম ১০০-১০০০ ছাড়িয়ে যাওয়া, পরিযায়ী শ্রমিকদের লকডাউনকালে নিদারুণ যন্ত্রণা দেওয়া, জাতের নাম-ধর্মের নামে-দেশের নামে দলিত ও সংখ্যালঘুদের ওপর চূড়ান্ত নিপীড়ন গ্রামীণ ভারতকে(Rural India) কার্যত চূড়ান্ত মোদি বিরোধী(Anti Modi) করে তুলেছে। এদিকে শিয়রেই লোকসভার নির্বাচন। সঙ্ঘের সমীক্ষায় উঠে এসেছে ২১০ এর বেশি জুটবে না আর কেন্দ্রের শাসক দলের নিজস্ব সমীক্ষায় সেটা আরও কমে দাঁড়িয়েছে ১৮০। এই অবস্থায় হাল না ছেড়ে পরিস্থিতির বদল ঘটাতে গ্রামীণ ভারতের দিকেই নজর দিতে চাইছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পকে বছরে নূন্যতম ২০০ দিন করা ছাড়াও, এবার তাঁদের চিন্তায় স্বল্প সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদী প্রকল্প(Short Term Small Savings Scheme) আনার। আর সেটাও ডাকঘরের(India Post) মাধ্যমে। সুদের হাত ৫ শতাংশের আশেপাশেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে ইডির হানা

গ্রামীণ ভারত ক্রমশ মোদি বিরোধীতায় মেতে উঠছে। সেটা বুঝতে পেরেই কেন্দ্র সরকার এবার ক্ষোভ প্রশমণ করতে চাইছে। কেননা গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের জন্য মোদি সরকার ২০১৪ সাল থেকে যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তার ছিঁটেফোঁটা গিয়ে পৌঁছায়নি নীচুতলার মানুষদের কাছে। সবই মাঝপথে লুঠ হয়ে গিয়েছে কিংবা প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। একই সঙ্গে তাঁরা এটাও দেখছেন মধ্যবিত্ত শ্রেনীও ক্রমশ মোদি বিরোধীতায় সরব হচ্ছেন কেননা মোদর রাজত্বকালে তাঁরা সেভাবে কিছুই পাননি। উল্টে প্রত্যেকের সঞ্চয়ে কোপ পড়েছে। কার্যত বিগত ৩০ বছরের ইতিহাসে দেশে সঞ্চয়ের পরিমাণ সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে। আয়করে ছাড় দিয়ে এক্ষেত্রে যে কিছু হবে না সেটা বুঝেই এবার মোদি সরকার ডাকঘরের মাধ্যমে মানুষের হাতে কিছু বাড়তি টাকা পৌঁছে দিতে চাইছে। সেই কারণেই ভাবনাচিন্তা চলছে ডাকঘরের মাধ্যমে স্বল্প সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদী প্রকল্প চালু করা যা একাধারে গ্রামীণ এলাকার মানুষদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত এবং তরুণ প্রজন্মকে টাকা জমানাওর ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করবে।

আরও পড়ুন বাংলায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প খতিয়ে দেখতে আসছে ১২টি কেন্দ্রীয় টিম

মোদি সরকারের আধিকারিকেরা এটা দেখেছেন যে দেশের যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক বা ক্ষমতা থেকে চলে যাক না কেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদ নিয়ে যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, ব্যাঙ্কগুলি যত আকর্ষণীয় সুদই দিক না কেন গ্রামীণ এলাকার মানুষজন ও মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে ডাকঘরের সঞ্চয় প্রকল্পের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে কোনও বদল ঘটায় না। দশকের পর দশক ধরে ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প দেশের যে বাজার ধরে রেখেছে তা রীতিমত ইর্ষ্ণণীয়। আর ডাকঘরের প্রতি আমআদমির এই আস্থাকেই এবার ভোটবাক্সে টেনে আনতে চান মোদি। এখনকার যুগে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পে দীর্ঘদিন অর্থ জমা রাখা সাধারণ মানুষের পক্ষে সমস্যার। বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের পক্ষে একসঙ্গে বেশি টাকা দীর্ঘ সময়ের জন্য লগ্নি করা সম্ভব হয় না। তারা ভাবে যে কোনও সময় টাকার দরকার হবে। তাই এইসব প্রকল্পে টাকা রাখা যাবে না। আবার একই কথা তরুণ প্রজন্মের ক্ষেত্রেও কার্যকর। মধ্যবিত্তরাও অনেকে স্বল্প মেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্প চান। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই মোদি সরকার আসন্ন বাজেতে এই ধরনের প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করতে পারে। এই প্রকল্পে দীর্ঘকালীন টাকা আটকে থাকবে না, বরং সমান সুদে কম টাকার আমানত হলেও স্বল্প সময়েই সেই টাকা তুলে নেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন জয় বাংলা, দুর্গাপুজোর বিশ্বস্বীকৃতি এবার দিল্লির রাজপথে

২০২২ সালের বাজেটে ডাকঘরের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে রাষ্ট্রয়ত্ত ব্যাঙ্কের সংযোগের ঘোষণা হয়েছিল। সেই কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। ১ লক্ষ ৫৮ হাজার পোস্ট অফিসের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশন ব্যবস্থা সমাপ্তির পথে। কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশনের মাধ্যমে ডাকঘরে থাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে সংযুক্ত করা যাচ্ছে। ফলে টাকা  ট্র্যান্সফার, এটিএমের মাধ্যমে টাকা তোলা অথবা অনলাইন টাকা পাঠানোর ব্যবস্থাও হয়ে যাবে। তাই ডাকঘরের মাধ্যমে স্বল্প সঞ্চয়ের স্বল্প মেয়াদী প্রকল্প আনতে কোনও অসুবিধা হবে না। দেশের ডাকঘরে এখন ৫০ কোটির বেশি সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গ্রামীণ ভারতে এখনও ডাকঘরে সেভিংস অ্যকাউন্ট খোলা এবং টাকার লেনদেন সবথেকে বেশি প্রচলিত ও জনপ্রিয়। সেই কারণে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের গ্রাহক সংখ্যাও গ্রামীণ এলাকায় অনেক বেশি। এই কোর ব্যাঙ্কিং সলিউশন সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে যাওয়ার পর ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পে বড়সড় লাভ হবে। এখন আর টাকা পেতে অপেক্ষা করতে হবে না। গ্রামীণ এলাকার যত ক্ষুদ্র ডাকঘর শাখাই হোক, ম্যাচিওর হওয়া টাকা সময়মতো পাওয়া যাবে। অনলাইনে ব্যাঙ্কে ট্র্যান্সফার করেও দেওয়া যাবে। এটিএমের মাধ্যমে সেই টাকা তোলাও যাবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর